শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করেছে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশন জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ হচ্ছে রাজশাহীতে  ‘অদম্য ইচ্ছায় আশা পূরণ সামিয়ার’ এবার স্বপ্ন জয়ে সারথি হয়েছে সিআরএ জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে ছাতকে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ  পদত্যাগ করেছেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে : বিএনপি  গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবহিনী। মৃত্যুর আগে চট্টগ্রাম ছাত্রদল নেতার ফেসবুক স্ট্যাটাস -চলে আসুন ষোলশহর। তালায় অতি বৃষ্টিতে ডুবছে ফসল-ঘের, প্রতি বর্ষায় একই দুর্ভোগ
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত : রাষ্ট্রপতি

রিপোটারের নাম / ৪৪৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বিচারকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে দুদিনব্যাপী ‘একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশিয়ার সাংবিধানিক আদালত : বাংলাদেশ ও ভারত থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দায়িত্ব পালনের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। ক্ষমতার যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখতে হবে।’ বিচারকদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘দেশ-জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’ রাষ্ট্রপ্রধান আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিচার প্রার্থীরা অত্যন্ত কম খরচে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায় বিচার পাবেন এবং বিচারকরা তাদের মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।’ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বিচার বিভাগকে সামিল হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার যাত্রা শুরু করেছে ও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটা মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সোনার বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ষড়যন্ত্রকারীদের সেই নীল নকশা বাস্তবায়িত হতে দেয়নি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ৫ম ও ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করেছে।’ সুপ্রিম কোর্টের যেই বিচারপতি ও আইনজীবীরা বন্দুকের নলের কাছে নতি স্বীকার করেননি, বিবেককে কখনো বিকিয়ে দেননি তাদের ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপ্রধান।

বাংলাদেশ ও ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাদের নিজ নিজ যাত্রায় অনন্য পথ অতিক্রম করেছে বলে তিনি জানান। বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই এমন দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেছে যেখানে বিচার বিভাগ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায়, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং সুশাসনের নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখতে হস্তক্ষেপ করেছে। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সম্প্রসারিত হচ্ছে। দুদেশের বিচার বিভাগ, বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের বিচার বিভাগ, বিচারক ও জনগণ উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবিধানিক আদালতগুলোকে মামলা জট নিরসন, ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার এবং বিচারিক জবাবদিহিতার মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, দুদেশের বিচার বিভাগ বিচারক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের বিচারক, জনগণ উপকৃত হতে পারে। সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবিধানিক আদালতগুলোকে ন্যায়বিচারের প্রবেশ অধিকার ও বিচারের জবাবদিহিতার মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিচার বিভাগের উন্নয়নের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভারতের প্রধান বিচারপতি ড.ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় উপস্থিত হয়ে সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক বহুমাত্রিকতা দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিসহ অন্যান্য সকল অতিথিদের স্বাগত জানান। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে সম্বিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নেতা, সংসদ সদস্য ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ