শিরোনাম
পাটগ্রামে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন সফল করতে বিএনপির বর্নাঢ্য র-্যালি চুয়েটে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সম্পন্ন সেই ইলেকট্রিক চেয়ারে আমাকে বসানো হয়েছিল : মাওলানা রফিকুল ইসলাম  ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছেন রাশিয়া। প্রধান উপদেষ্টা দুবাই পৌঁছেছেন। গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা নেতানিয়াহুর । গনক্ষাই মদ্রাসায় ১ম বারের মতো আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের অধীনে বোর্ড পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সব দল ও গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে চায় : সিইসি
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

চুনারুঘাটে পুলিশ কনস্টেবলকে রাজকীয় বিদায় দিলেন ওসি রাশেদুল হক। 

রিপোটারের নাম / ৪৪২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 

চুনারুঘাট ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ অবসরের বিষন্নতা কাটিয়ে সাড়ে ৩৭ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার এক পুলিশ সদস্য। আর এই সংবর্ধনা দিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর ) বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সুসজ্জিত গাড়িতে করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার পক্ষ থেকে বশির আহমেদকে নিজ বাড়ি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় পৌঁছে দেওয়া হয়। বেলা ২ টার সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত হয়।

এর আগে সহকর্মীরা ভালবাসার সাথে বিদায় দেন এই পুলিশ কনস্টেবলকে। ওসির এমন উদ্যোগে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বিদায় নেয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশ কনস্টেবল বশির আহমেদ বলেন, ‘ চাকরিরত যোগদানের আগে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। কিন্তু বিদায়ের বেলায় তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতা থাকে না। তবে অত্র থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক স্যারের এমন উদ্যোগ নিয়ে আমাকে কর্মজীবনের শেষে এক সুখস্মৃতি দিয়েছে। আমরা চাই পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে এভাবেই বিদায় সংবর্ধনা করা হোক। পুলিশের চাকরিতে একজন কনস্টেবলের অবসর সাধারণ ঘটনা। সাধারণত কনস্টেবলদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়া হয় না। কিন্তু আমার বেলায় এ ভিন্ন রকম। বিদায় সংবর্ধনাটি জীবনের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এভাবে আমাকে বিদায় দেওয়া হবে কখনও ভাবিনি।

এ বিষয়ে ওসি রাশেদুল হক বলেন, কর্মজীবনের শেষ বেলাকে রাঙ্গিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। এই স্মৃতিটুকু বাকী জীবন চলার পথে আনন্দধারা হয়ে কাজ করবে। একজন সহকর্মীকে এমন বিদায় জানাতে পেরে আমি অনেক অনেক আনন্দিত।

আগামিতেও সবার বিদায় বেলায় সুখস্মৃতি হয়ে থাকার মতো এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। এ ছাড়া থানার অন্যান্য কর্মকর্তা ও বশির আহমেদের স্ত্রী-কন্যাও তার বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ