শিরোনাম
৯ম তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজিমুশ্শান পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল। বিএনপি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিলেটে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির নেতা সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ইয়ূথ ক্যাডেট ফোরাম চট্টগ্রাম জেলার দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন নেপাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দল রওনা দিয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের আস্থা ঢাকা ওয়াসা  ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বিজয় হয়েছে নেপালে ছাএ জনতার বিক্ষোভে নিহত ৮ ছাতকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কমিটি গঠন
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

পড়াশোনা বিজ্ঞানে- কিন্তু প্রবেশপত্রে মানবিক বিভাগ ! 

রিপোটারের নাম / ৪৫২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ মে, ২০২৩

 

আনোয়ার হোসেন আকাশ : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ফাহিম আহম্মেদ। সে পড়ালেখা করেছে বিজ্ঞান বিভাগে। তবে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে সে দেখে তার নিবন্ধন হয়েছে মানবিক বিভাগে।

এজন্য তাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেও মানবিকের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।যা মেনে নিতে পারছে না ফাহিম। এ কারণে ফাহিমসহ তার পরিবার বেশ চিন্তিত।

ফাহিমের অভিযোগ, নিবন্ধনের সময় অসুস্থ থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূলের কারণে তারর নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়। আবার নিবন্ধনের পর প্রিন্ট কপিতে তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।

ফাহিমের সহপাঠীরাও বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে মানবিক বিভাগে ফাহিমের পরীক্ষা দেওয়া মেনে নিতে পারছে না।

ফাহিমের একাধিক সহপাঠী জানায়, দুই বছরে কোনো শিক্ষক বলেনি তার নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়েছে। একসাথে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখাসহ ফরম পূরণ করেছি। ব্যবহারিকও এক সাথে করেছি। তাহলে ফাহিম মানবিকে কীভাবে হয়!

ফাহিম বলে, দুই বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান করেছি। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য যে ফি লাগে তা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে আমি মানবিক বিভাগে কীভাবে পরীক্ষা দিব। বিষয়টি দেখার পরে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষক আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলে। সে কারণে বাংলা পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি।’

সে আরও বলে, আমার বিভাগ পরিবর্তন না হলে আমি মানবিকের বিষয়গুলো পাশ করতে পারব না। একটি ভুলের কারণে আমার ১০ বছরের স্বপ্ন নষ্টের পথে। এ কষ্ট আমি মেনে নিতে পারছি না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ভুলের জন্য ফাহিম দায়ী। তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মানবিকে। সে দেখে শুনে প্রিন্ট কপিতে স্বাক্ষর করেছে। পরীক্ষার ১০ দিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তখন কিছু বলেনি। পরীক্ষার আগের দিন বিষয়টি অবগত করেছে। এতে আমরাও বিব্রত। তার ইচ্ছে অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তনের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে চেষ্টা চলছে।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যার অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, মানবিক কারণে শিক্ষার্থীদের ভূল সংশোধন চলমান আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসলে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ