শিরোনাম
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ। কালিহাতীতে ১১ বছরের শিশুর বাল্যবিবাহ ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ১ জনের মৃত্যু সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: প্রধান নির্বাচন কমিশনার জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূততের সাথে বেগম খালেদা জিয়া’র সৌজন্য সাক্ষাৎ পোরশায় জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন এনসিপি আগামী রোববার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করবে। সারাদেশে আরও ১৫১ জন  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন । পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত অতিরিক্ত আইজিপি মো. ইকবাল বাহারকে আটক করেছে ডিবি । ইসরায়েলের ওপর নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন

 

মুন্সীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন নৌকা প্রতীকের এক সমর্থক।

রিপোটারের নাম / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকালেই মুন্সীগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন নৌকা প্রতীকের এক সমর্থক।

রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার আসলাম খান। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নিহত জিল্লুর রহমান (৪০) টেঙ্গর এলাকার শরীতুল মুন্সীর ছেলে। পৌর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি জিল্লুর এই আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক।

টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ের একদিকে রিকাবীবাজার ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরেক দিকে রিকাবীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। দুটি বিদ্যালয়ই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র।

স্থানীয়রা জানান, সকালে টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগমের দাবি, সকালে নিজের ভোটকেন্দ্র রিকাবীবাজার ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন জিল্লুল।

“পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সর্মথক মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন ও পৌর কাউন্সিলর মো. লিটনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। এসময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”

তিনি তার স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

পুলিশ সুপার আসলাম খান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ