শিরোনাম
৯ম তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজিমুশ্শান পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল। বিএনপি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিলেটে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির নেতা সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ইয়ূথ ক্যাডেট ফোরাম চট্টগ্রাম জেলার দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন নেপাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দল রওনা দিয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের আস্থা ঢাকা ওয়াসা  ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বিজয় হয়েছে নেপালে ছাএ জনতার বিক্ষোভে নিহত ৮ ছাতকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কমিটি গঠন
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১০ পূর্বাহ্ন

আল্লাহ আমাকে এই দেশের অভিভাবক বানিয়েছেন অন্য কোনো পদে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

রিপোটারের নাম / ১০৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির দেশটির নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তনের গুজবকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এসব গুজব সরকার ও সেনাপ্রধান—দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই ছড়ানো হচ্ছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুহাইল ওয়ারাইচকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এই দেশের অভিভাবক বানিয়েছেন।’ তিনি আরও জানান, অন্য কোনো পদে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।

 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, আসিম মুনির জোর দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা তখনই সম্ভব, যখন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করবে।

 

গত জুলাইয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে পদ ছাড়তে বলা হতে পারে এবং সেনাপ্রধান দেশটির সর্বোচ্চ পদে বসতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বিষয়টি সরাসরি নাকচ করেন। শাহবাজ বলেছিলেন, ‘ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির কখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি, আর এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই।’ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকভি একে আখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট জারদারি, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে ঘিরে ‘অপপ্রচারমূলক ষড়যন্ত্র’ হিসেবে।

 

সাক্ষাৎকারে ফিল্ড মার্শাল মুনির পাকিস্তানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, যেখানে দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বন্ধুকে অন্যজনের জন্য বলি দেব না।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক উন্নতির দিকে। সম্প্রতি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সেনাপ্রধান মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান। এই পদক্ষেপে ভারত অস্বস্তিতে পড়ে এবং এটি কূটনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

 

আন্তর্জাতিক কূটনীতি প্রসঙ্গে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তির ইচ্ছা সত্যিকারের। তাই পাকিস্তানই প্রথম তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নকে সমর্থন করে। এরপর আরও কয়েকটি দেশ পাকিস্তানের পথ অনুসরণ করেছে।’

 

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে ফিল্ড মার্শাল মুনির সতর্ক করে বলেন, ভারত যেন প্রক্সির মাধ্যমে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা না করে। তিনি শাহবাজ শরিফের প্রশংসা করে বলেন, যুদ্ধকালেও তিনি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছেন। একই সঙ্গে সরকার ও মন্ত্রিসভাকে কঠিন সময়ে দৃঢ় মনোবল দেখানোর জন্য তিনি সাধুবাদ জানান।

 

আসিম মুনির অভিযোগ করেন, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ফিতনা-আল-খারিজ’ ও ‘ফিতনা-আল-হিন্দুস্তান’ ব্যবহার করে ভারত তার অশুভ পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুনির। তিনি আফগানিস্তানের সরকারকে আহ্বান জানান এমন কোনো নীতি অনুসরণ না করতে, যাতে তালেবানকে পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পাকিস্তানির রক্তের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতেই হবে।’

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ