কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এবার কিশোর গ্যাং এর হুমকির কবলে সাংবাদিক। পবিত্র ইদুল ফিতরের দিন সকাল পৌনে ৭টায় সাংবাদিক মেছবাহ উদ্দিনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেবক কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাট এ সংঘবদ্ধ গ্যাং হামলার চেষ্টা ও হুমকি-ধমক প্রদান করে। এ সকল কিশোর গ্যাংদের ইউনিট এতই শক্তিশালী যে তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না। তাদের কেউ কিছু বললেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বসুরহাট বাজারের করালিয়া রোডের রৌশন আরা মার্কেটের ৩য় তলার ২টি রুমে টেইলার্সের কারখানা ভাড়া দেওয়া আছে। এ মার্কেটের ৪র্থ ও ৫ম তলায় বাসাভাড়া রয়েছে। নীচ তলায় দোকানপাট এবং ২য় ও ৩য় তলায় কর্মসংস্থান ব্যাংক ও প্রাবাসী কল্যাণ ব্যাংক রয়েছে। রয়েছে ৩টি ইন্স্যুরেন্স। কারখানার কারণে প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত মূল ফটক খোলা থাকে। এছাড়াও উক্ত কারখানায় কোন ধরণের শৌচাগার না থাকায় কারখানায় অবস্থানরত ১৫/১৬জন শ্রমিক শৌচকর্মের জন্য রাতে বাহিরে যেতে হয়। ফলে মার্কেটটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত থাকে। শ্রমিকদের কোন তথ্য মালিক পক্ষের কাছে নেই। দূর্ঘটনা এড়াতে মালিকপক্ষকে সচেতন করতে বিষয়টি খেয়াল রাখতে বলায় শ্রমিকরা বিষয়টি জেনে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়াও ২০২১সালের শেষের দিকে উক্ত কারখানায় কর্মরত রায়হান নামে একজন শ্রমিক (বর্তমানে প্রবাসে থাকে) খুব ভোরে একটি মেয়েকে জোরপূর্বক এনে অশ্লীল কর্মকান্ড সংঘটিত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকায় বিষয়টি মার্কেটের সাবেক কেয়ারটেকার নুর নবীকে ডেকে এনে সাবধান করলেও তারা সাংবাদিকের উপর ক্ষোভ পোষণ করে। মার্কেটের ৫ম তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন দৈনিক নবচেতনা ও দি বাংলাদেশ টুডে এর কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক মেছবাহ উদ্দিন এবং নীচতলায় তিনি একটি দোকান ও পত্রিকার একটি অফিস পরিচালনা করেন। গভীর রাতে কারখানার ইলেক্ট্রিক মেশিনসমূহের কম্পনে ঘুমে বিঘœ সৃষ্টি হতো বলে মালিক পক্ষকে জানালেও শ্রমিকরা জেনে সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয় ও অকথ্যভাষায় গালাগালি করে। তিনি ঝামেলা এড়াতে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এ সকল শ্রমিকরা কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তারা প্রতিনিয়ত সাংবাদিককে হুমকি ধমকের উপর রেখেছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মেছবাহ উদ্দিন এইচটি বাংলা প্রতিনিধিকে জানান যে, কিশোর গ্যাং সদস্যরা চলার পথে আমাকে লক্ষ করে পেটানোর হুমকি দেয়, পথ আগলে ধাক্কা দেয়া ও দেয়ার চেষ্টা করে, আমার দোকানের সাঁটারের তালায় সুপারগøু দিয়ে বন্ধ করে দেয়াসহ নানা তৎপরতায় লিপ্ত আছে। ঈদুল ফিতরের দিন সকাল পৌনে ৭টার দিকে আমি ও আমার ৯ বছর বয়সী শিশু পুত্র নিয়ে দোকান খুলে বসলাম। এমন সময় শ্রমিকদের ৫/৬জন কারখানা থেকে নেমে বাড়ী যাওয়ার পথে আমাকে একা পেয়ে শ্রমিক জিসান (২৬) ও আনোয়ার হোসেন প্রকাশ মঞ্জু (২৭), পিতা- মোঃ হানিফ মিয়া, মাতা- মোহছেনা খাতুন, প্রযতেœ- মফিজ টেইলারের বাড়ী, গ্রাম- উত্তর জগদানন্দ, ডাকঘর: মুকবুল চৌধুরীহাট-৩৮০৭, উপজেলা- কবিরহাট, জেলা- নোয়াখালী এর নেতৃত্বে আমার দোকানের সামনে আমার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। বেশকিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর কিছু বলবে কিনা জিজ্ঞেস করতে না করতে আমার ব্যাপারে তাদেরকে কাছে অনেক রিপোর্ট জমা হয়েছে উল্লেখ করে আমাকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করে আমাকে মারার জন্য দোকানের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় আমি আতংকিত হয়ে পড়ি। আমি আমার ব্যবহৃত মোবাইল সেটের ভিডিও অন করে আত্মরক্ষার্থে দোকানে থাকা একটি রড হাতে নিয়ে দাঁড়ালে ভিতরে প্রবেশ না করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা গালমন্দ ও হুমকি ধমক দিতে থাকে এবং ঈদ শেষে তারা দেখে নেওয়ার হুমকি ধমক দেয়। পরে স্থানীদের উপস্থিত বাড়তে থাকলে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমি চরম বিব্রত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।