মুহাম্মদ আরফাত হোসেন: দক্ষিণ চট্টগ্রামের এককালের বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম-১৪ আসন। দীর্ঘ ৬ বার দখলে রেখেছিলেনন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে এলডিপি থেকে ছাতা প্রতীক নিয়ে বিএনপি’র উপর ভর করে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি’র সে পুরানো আসন উদ্ধারের চেষ্টা করবে। কিন্তু আ’লীগ পর পর ২ বার নজরুল ইসলাম চৌধুরী’কে এমপি হিসেবে পেয়ে বিগত ১০ বছরে এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। সে হিসেবে আসনটি আ’লীগ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠবে। তবে প্রার্থী নির্বাচনে দুরদর্শীতা দেখাতে না পারলে পরাজয় হবে দলের। কারণ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি ১৯৭৮ সালে সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন তারা অন্যান্য আসনের চেয়ে হেভি ওয়েট প্রার্থী ছিলেন। বিষয়টি মাথায় রেখে বড় ২ দলকে প্রার্থী নির্বাচনে দুরদর্শীতা পরিচয় দেয়া উচিত বলে মনে করছেন বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।
চট্টগ্রাম-১৪ আসন তথা চন্দনাইশ-সাতকানিয়া(আংশিক) এলাকার সংসদীয় আসনে চন্দনাইশের ২ পৌরসভা, ৮ ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা নিধারণ করা হয়। সারা দেশের ন্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আ.লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ১০ জন, বিএনপি থেকে ৪, এলডিপি, গণ ফোরাম ও জাসদ থেকে ১ জন করে, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্ট থেকে ২ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বিগত ২০১৪ সালের ৫ জানুযারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ম সংসদ সদস্য হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এলডিপি’র প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রমকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ১৭ বছর চন্দনাইশ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, দক্ষিণ জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আ.লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ছাত্রজীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। দক্ষিণ জেলা আ.লীগের ২য় বারের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি ছাত্রজীবনে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম গণ-জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রসহ ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। ৩ বার চন্দনাইশ উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক জি.এস, কেন্দ্রীয় আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান উপ-কমিটির সদস্য আবদুল জব্বার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এম.এ সায়েদ, বিজিসি ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহম্মদের ছেলে, বাংলাদেশ আ.লীগ কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দীন আহমেদ আসিফ, চন্দনাইশ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, রিহ্যাব চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যান উপ-কমিটির সদস্য, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সদস্য আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক, সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ মুরিদুল আলমের ছেলে, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুর রহমান শিবলী, আ’লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য মামুন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুব লীগের সহ-সভাপতি ড. নাছির উদ্দিন জয়সহ এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অপরদিকে এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ও ৬ বারের সংসদ সদস্য কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম ঐক্যজোট থেকে না হলে নিজ দল এলডিপি থেকে ছাতা প্রতীক নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। ১৯৭৬ সালে চন্দনাইশ থানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এ আসনে ১৯৭৯ সালে ১৮ ফেব্রেুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি’র প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার মাহবুবুল কবির চৌধুরী। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রদূত হলে ১৯৮১ সালে উপ-নির্বাচনে এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কর্ণেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে ৭ মে তৃতীয় সংসদ, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম জাতীয় সংসদ, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ, একই বছর ১২ জুন ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কর্ণেল অলি জয়লাভ করেন। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চন্দনাইশ আসন ছাড়াও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকেও নির্বাচিত হন। ২টি আসনে জয়লাভ করার কারণে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আসন ছেড়ে দিলে, তাঁর সহধর্মিনী মমতাজ অলি উপ-নির্বাচনে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আসনে আ.লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় কর্ণেল অলি নির্বাচিত হন। একই সালের বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের মেয়াদের শেষ দিকে কর্ণেল অলি বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এলডিপি থেকে ‘ছাতা’ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। শত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে নিজ দলীয় প্রতীক ছাতা নিয়ে নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। অবশেষে বিপুল ভোটে প্রথমবারের মত নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেন অলি।
ঐক্যজোট না হলে বিএনপি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী যুদ্ধে অবর্তীণ হবেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি ইতিপূর্বে মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, বাকলিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, দীর্ঘ সময় ধরে ড্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, বি.এম চট্টগ্রামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান, সিজিকেএস’র নির্বাহী সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। অপরদিকে সাবেক শিক্ষা ও বানিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের ভাই ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি এড. মিজানুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক, সাতকানিয়া বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এহেছানুল মৌলাসহ একাধিক প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে একটি আলোচিত আসন। এ আসনটি এক সময় বিএনপি’র ঘাঁটি হিসেবে কর্ণেল অলি ১৯৮০ সাল থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে বেরিয়ে লিবারেল ডেমোক্রোটিক পার্টি প্রতিষ্ঠা করে ছাতা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ থেকে ওসমান গণি চৌধুরী (অভিক ওসমান) তিনি ১৯৭০ সালে কাজেম আলী হাই স্কুলের ছাত্রলীগের এজিএস, দেশ কৃষ্টি গ্রস্থ বিরোধী আন্দোলন, শাহজাহান ইসলামাবাদীর নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সাহিত্য সংসদের ভিপি, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, চট্টগ্রাম কলেজ বাংলা সংসদের ভিপি ছিলেন। ১৯৮০ সালে চাকসুতে সাহিত্য সম্পাদক, ৯০’র দশকে জাসদ সিটি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, জেনারেল পথ নাটক ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, জাসদ (ইনু)’র মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, জাপান, জার্মানি, বেলজিয়াম, সৌদি আরব, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করার পাশাপাশি ১৫টির অধিক গল্প উপান্যাস, নাটক লিখেছেন। গণ ফোরাম থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টি জি.এম কাদেরের পক্ষে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অলি উল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, রওশন এরশাদ গ্রুপের পক্ষে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দৌঁড়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শিহাব উদ্দিন মো. আবদুস সামাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিসে শুরা সদস্য, আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমিন মক্কা শরীফ শাখার সভাপতি, গাউসিয়া কমিটি মক্কা শরীফ শাখার প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দী সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ সময় ধরে এ আসনটি ছিল বিএনপি’র দখলে। বিগত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি হওয়ার পর বিগত টানা ১০ বছরে পুরো চন্দনাইশের চেহারা পাল্টে যায়। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোয়া লেগে নির্বাচনী এলাকা আ’লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করেছেন তিনি। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নির্বাচনী ওয়াদাগুলো পালনে সমর্থ হয়েছেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। বিশেষ করে শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিনন্দন ভবন, উপজেলার ভরাট ও অচল খালগুলো খনন, বরকল ব্রীজ, দোহাজারী ব্রীজ, মাজার পয়েন্ট ব্রীজ, খোদার হাট ব্রীজ, ধোপাছড়ির জিরোবুক ব্রীজ, ধোপাছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ, ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দনাইশ পৌরসভায় পানি শোধানাগার স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কারণে তিনি সাধারণ মানুষের আস্তা অর্জন করেছেন। অপরদিকে বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় না থাকার কারণে দলে বিভক্তি, নেতৃত্ব শূন্যতা, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা। বিএনপি থেকে ২০০৬ সালে কর্ণেল অলি বেরিয়ে যাওয়ায় চন্দনাইশ বিএনপি প্রথম দিকে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। সে বিএনপি হাঁটি হাঁটি পা পা করে কয়েক বছর পর সু-সংগঠিত হলেও পর পর দুইবার জাতীয় সংসদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করায় নেতা কর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব তেমন ছিল না। তাই দায় সারাভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করে গ্রুপিং’র মধ্যদিয়ে কেটেছে বিগত ১০ বছর। যেহেতু আসনটি এক সময় বিএনপি’র দখলে ছিল পরবর্তীতে কর্ণেল অলি নিজ দল এলডিপি থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ছাতা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। সে হিসেবে ঐক্যজোটের সাথে কর্ণেল অলি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রতিদ্বন্ধিতা হবে নৌকার প্রার্থী ও ঐক্যজোটের প্রার্থীর মধ্যে। এ আসনে সুখী নেয় বিএনপি। তাদের মধ্যে হেভিওয়াট প্রার্থী না থাকায় মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক চন্দনাইশ পৌরসভার বাসিন্দা ডা. শাহাদাত হোসেন এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান। চন্দনাইশ বিএনপি বর্তমানে ৩ ধারায় বিভক্ত হওয়ায় নির্বাচনের পূর্বে দলীয় সংকট নিরশন না করলে পরবর্তী নির্বাচনে বৈতরনী পার হওয়া কঠিন হবে বিএনপি প্রার্থীর।