ইমতিয়াজ উদ্দীন, পটিয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটার ঘটনায় পটিয়ায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মৃত নুরুল আলমের পুত্র শফিকুল ইসলাম সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ১৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ওই দিন ছাত্রলীগের ব্যানারে কেক কাটা এবং বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কেক কাটার ঘটনায় ১৩ জানুয়ারি রাতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পটিয়া থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার খোরশেদ আলমের বাড়ির ছাদে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটার মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে । মামলাটি পটিয়া থানায় রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নং-১০)।
মামলার আসামিরা হলেন, মো. আরশাদ (২৮) কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, আব্বাস আলী (৪০) কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য,আবদুল মান্নান (৩৭),সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দিন (২৫) কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,মিজান (২৭) কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক,আবদুর রব ফয়সাল (৩০),হেলাল উদ্দিন মানিক (২৮),মো. বাপ্পী চৌধুরী (২৫),আবদুল কাদের (৩০) – দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, মো. হোসেন রানা (৪০),জানে আলম (২৫),মো. মামুন (২৫) কুসুমপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,ওসমান গণি মিয়া (৩৫),নুরুল ইসলাম (৫০) আওয়ামী লীগ নেতা,শাহরিয়ার মনির (২৬),মো. হাসেম বাহাদুর (২৫), মিজানুর রহমান মিজান (৩০),মো. মারুফ (২৭), মো. মহি (৩৫)।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে রাষ্ট্রবিরোধী নানা স্লোগান দেন। এ ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।