ছাতক প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মার্চ ২০২৫-এর মূল্যায়নে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সারাদেশের ৪৯০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান ১১তম।
কিন্তু রোগী ও স্বজনদের মতে, এই স্বীকৃতির সঙ্গে হাসপাতালের বাস্তব চিত্রের কোনো মিল নেই।
হাসপাতালের ভেতরের কয়েকটি ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় মেঝেজুড়ে ছড়ানো ময়লা, নোংরা কাপড়ের স্তূপ, ব্যবহৃত সিরিঞ্জের প্যাকেট, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলসহ বিভিন্ন বর্জ্য। নার্স রুমের সামনেও অগোছালো পরিবেশ। পাশে পড়ে থাকা ভাঙা আসবাবপত্র পুরো পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
স্থানীয় আকাশ আহমদ জানান যেখানে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে, সেই জায়গাই যদি নোংরা থাকে, রোগীরা নিরাপদ চিকিৎসা পাবে কীভাবে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রুগির স্বজন মোঃ মিজানুর রহমান বলেন শুধু করিডোর নয় টয়লেট থেকে শুরু করে হাসপাতালের নানা অংশেই দীর্ঘদিন ধরে পরিচ্ছন্নতার অভাব দেখা যায়।
অনেকের মতে, প্রতিদিন বিপুল রোগী এলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কখনোই উন্নত হয়নি।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক মিনহাজুর রহমান মিনহাজ বলেন মূল্যায়নে ভালো স্থান পাওয়া মানেই সবসময় ধারাবাহিক সেবার মান বজায় থাকে এমন নয়। নোংরা পরিবেশ রোগীর সরাসরি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করে। এটা থেকে আমাদের সকলের সচেতন থাকতে হবে।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত আরেফিন বলেন আমার এখানে জনবল সংকট রয়েছে, তাই সব সময় হাসপাতালকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সকালে এসে দেখবেন সব ঠিক আছে, কিন্তু বিকেলে আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে। এই জনবল দিয়েতো আমি বারবার পরিষ্কার পরিছন্নতা করাতে পারি না। এজন্য এই পরিস্থিতির দায় শুধু আমার একার নয়, আমাদের সকলের। আমরা সবাই আরও সচেতন হলে এ ধরনের সমস্যা হতো না।
আপনি আমাদের জানিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করব যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়। এছাড়া, হাসপাতালের পড়ে থাকা ভাঙা আসবাবপত্র লিলামের জন্য রাখা হয়েছে লিলামের পর এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শ্রেষ্ঠত্ব আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর নির্ভর করে নয়, বরং স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য
কার্যক্রমে আমাদের অবদানের কারণে আমরা এই স্বীকৃতি অর্জন করেছি।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে রোগীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।