আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ছুরিকাঘাতে প্রেমিকা সেমিরী রানী (৪২) কে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে প্রেমিক চন্দ্র মোহন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিকালে উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রাম পুর দিঘি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেমিরী রাণী ওই এলাকার মৃত বীরেন চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী। অভিযুক্ত চন্দ্র মোহন একই গ্রামের আলসা সিংহের ছেলে।
জানা যায়, গেলো তিন চার বছর আগে সেমিরী রাণী স্বামী বীরেন চন্দ্র বর্মনের মৃত্যু হয়। এরপর নিজের একাকীত্ব দুর করতে একই এলাকার চন্দ্র মোহনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে বাড়িতে সেমিরী রাণীর সন্তানরা তার কথিত প্রেমিককে তিরস্কার করে, তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলে।
কিন্তু চন্দ্র মোহন সেমিরী রানীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চাইলে এতে সেমিরী রাণী রাজি না হলে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চন্দ্র মোহন ক্ষিপ্ত হয়ে সেমিরী রাণী কে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে করে সেমিরী রাণীর শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরে চন্দ্রমোহন নিজের গলায় নিজের ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম হন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নিহত সোমিরী রানীর ছেলে বলেন, আমি মাঠে কাজ করতে গেছিলাম। খবর পেয়ে আসে শুনি আমার মাকে ছুরি দিয়ে চন্দ্র মোহন খুন করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টার করে ও পুলিশ তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি এলাকাবাসীর কাছে জানতে পারি যে আমার মায়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। আমি মাকে বুঝিয়ে বলায় মা তার সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি বলেই সে আমার মাকে হত্যা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত চলছে ও মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।