৩. নির্বাচন

গত বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তিনি ৩৬ শতাংশ তরুণ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু সিএনএনের বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় কমলা হ্যারিসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প।

৪. ২০২০ সালে ভোট

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট প্রাপ্ত ভোট নিয়েও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন ট্রাম্প। তিনি বলে আসছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে সাড়ে ৭ কোটি ভোট পেয়েছেন। তবে এ তথ্য ঠিক নয়। ট্রাম্প মোট পেয়েছিলেন ৭ কোটি ৪২ লাখ।

৫. নির্বাচনের বৈধতা

ট্রাম্পের সমর্থকেরা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দিতে ক্যাপিটাল হিলে ব্যাপক হামলা চালায়। তিনি দাবি করেছেন, তার সমর্থকেরা জানতেন নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছিল। তারা ভোটের জন্য বিক্ষোভ করছিল। ট্রাম্প ওই দাঙ্গাকে শুধু বিক্ষোভ বলেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

৬. ডেমোক্রেট ও নির্বাচন

বাইডেন প্রশাসনকে নির্বাচনী প্রতারক বলে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন শুধু প্রতারণা করতে পারে। কিন্তু মার্কিন নির্বাচন সাধারণত স্বচ্ছ ও নিরাপদ হয়।

৭. অভিবাসন

অভিবাসন নিয়েও একাধিক মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন বাইডেন প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ১০ লাখ অভিবাসী ঢুকেছে। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয়। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লাখ।

৮. কারাগার

অভিবাসনের পাশাপাশি কারাগার ও মানসিক প্রতিষ্ঠান নিয়েও মিথ্যা তথ্য সামনে এনেছেন ট্রাম্প। তিনি একাধিকবার দাবি করেছেন, অনেক দেশ তাদের কারাগার খালি করে যুক্তরাষ্ট্রে লোক ঢুকিয়েছে। তিনি এক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার দিকে ইঙ্গিত করেন। কিন্তু ট্রাম্পের এ দাবির কোনো সত্যতা নেই।

৯. কঙ্গো

ট্রাম্প কঙ্গোকে নিয়েও এ ধরনের মিথ্য দাবি করে আসছেন। কিন্তু কঙ্গো জানিয়েছে এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই।

১০. ইউক্রেন

ইউক্রেন ঘিরে ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মিথ্য তথ্য তুলে ধরে আসছেন। ২০১৯ সালে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করে বাইডেনের বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলেন। ট্রাম্প দাবি করেন, অ্যাডাম স্কিফ নামের ক্যালিফোর্নিয়ার এক ডেমোক্রেট সদস্য এ গল্প ফেঁদেছিলেন। এরপর এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর তার কথা রেকর্ড করে প্রচার করে। কিন্তু বাস্তবে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির কোনো ফোনালাপ এখনো ফাঁস হয়নি।

১১. আয়কর কমানো

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি করছাড় দিয়েছেন ট্রাম্প, এমন দাবি করা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এ দাবি মিথ্যা। ২০১৭ সালে তিনি যে কর কমিয়েছিলেন, তা ইতিহাসের সবচেয়ে কম ছিল না।