নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০০১ সালে মিথ্যা মামলার আসামী ও নির্যাতিত আ’লীগ নেতাদের সাথে মতবিনিময়, ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান বিজিসি ট্রাস্ট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য চলাকালীন ইফতার ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে চেয়ার ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে ১০ জনের অধিক আহত হয়। ১৫ এপ্রিল বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দীন আহমেদ আসিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাবেক সহ- সভাপতি হাবিবুর রহমান। উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. নজরুল ইসলাম সেন্টু ও সালাহ উদ্দীন শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, চেয়ারম্যান যথাক্রমে আবদুর রহিম, আবদুস শুক্কুর, আকতার হোসেন, যুবলীগ নেতা মো. হাসান, মঈনুউদ্দীন জুয়েল, মোরশেদুল আলম, মুন্না প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আহমদ, আ’লীগ নেতা যথাক্রমে সাইফুর রহমান, ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, ওসমান গণি, হেফাজুর রহমান, আবদুস শুক্কুর, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহ আলম মেম্বার, সাবেক মেম্বার আবদুল আজিজ, আহমদ নবী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীরুল ইসলামসহ আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি মফিজুর রহমানের বক্তব্য চলাকালে ঈদ উপহার ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে নেতাকর্মীদের মাঝে চেয়ার ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
এসময় দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে ধোপাছড়ির রেজাউল করিম (৩০), নাছির মোহাম্মদ পাড়ার মো. জাকের (৩০). মো. ফারুক (২২). আকতার হোসেন (৪৫), আবদুল হামিদ (৫৫), দোহাজারীর অসিম দেব (২৬), দেলোয়ার হোসেন (২৪), সাতবাড়িয়ার আবু হানিফ (৫২) সহ ১০ জনের অধিক আহত হয়। আহতদেরকে বিজিসি ট্রাস্ট ও বেসরকারিভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, ২টি ইফতার পার্টিতে সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন এবং আহত হয়েছেন বলেও শুনেছেন। তবে কোথাও ফোর্স পাঠানো হয়নি এবং কেউ অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান। ব্যারিস্টার আসিফ বলেছেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের তৎকালীন নেতা অলি আহমদ ১১শ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন এবং আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, মোজাহেরুল হক চৌধুরী, আবদুল হামিদ, এড. নাসির উদ্দীন, হাবিবুর রহমান, প্রয়াত ওয়াহিদ মাষ্টারসহ অনেককে মারধর করে আহত করেছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘরে থাকতে দেয়নি। ২০০৯ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় গেলেও এ সকল নির্যাতিত নেতাদের কেউ সহানুভূতির পাশে এসে দাঁড়াইনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করে এসকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার কারণে আজকে আপনারা এ বিশাল মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে পড়ালেখা করার অনুরোধ জানান, সামাজিক প্রচার মাধ্যম ফেসবুকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি কোনভাবেই কাম্য নয়। সব সময় ইতিবাচক কথা প্রচার করার আহবান জানান। ৭৫’পরবর্তী জিয়া যেভাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে, একই নিয়মে কর্ণেল অলি ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী চন্দনাইশে মিথ্যা মামলা দিয়ে ১১শ নেতাকর্মীকে হয়রানী করেছেন। আমার পিতা ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমদসহ ১১শ আসামী একদিনে জামিন লাভ করেন। যা রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা।