এইচটি বাংলা ডেস্ক : অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের সাথে বাংলা ও বাঙালির যে সম্পর্ক তা প্রস্ফুটিত হয়েছে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। বিশ্বে এখন মৌলবাদের উত্থান, বোধের সংকীর্ণতা, শ্রেণী বৈষম্য এবং অহেতুক যুদ্ধ সংঘাত। এসবের কারণেই রবীন্দ্রনাথ বর্তমান বিশ্বে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথের শান্তির বাণী , উপলব্ধির কথা, তাঁর সাম্যের কথা আরো বেশি প্রণিধানযোগ্য। যখন স্বৈরাচার থাকে, যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন সংস্কৃতি প্রতিবাদের অন্যতম হাতিয়ার। সেই প্রতিবাদে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার অনেকেই অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে রাজনীতি চর্চার সুযোগ থাকে না, সেখানে সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়েছে এবং সেটি বড় পরিসরে সকলের কাছে পৌঁছে যাই।”
আজ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্রগ্রাম বিভাগীয় শাখা আয়োজিত রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আজ এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশাখ মাসে আমাদের নববর্ষ। বাঙালি ঐতিহ্যের সরব উদযাপন। আমাদের সন্তানরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেন বিজাতীয় সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হবে। যেখানে আমাদের ঐতিহ্য, বাঙালির সংস্কৃতি উজ্জ্বল। আমাদের প্রতিটি কাজ ও আবেগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন না কোন গান, কবিতা ও গল্প জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারের রোজনামচা বইয়ে রবি ঠাকুরের বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা উল্লেখ করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টিকে চিরঅম্লান রাখার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছেন।
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি সাজেদ আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. মকবুল হোসেন, চট্রগ্রাম শাখার সভাপতি ড. আনোয়ারা আলম ও সাধারণ সম্পাদক লাকী দাশসহ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীগণ।