যে হাতে থাকার কথা ছিলো বই; সেই হাতে এখন কাজের সরঞ্জাম তুলে নিচ্ছেন কোমলমতি শিশুরা। এই শিশুশ্রম বন্ধে সরকারি -বে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক সংস্থা সমূহ বিভিন্ন ভাবে কাজ করার পরও শিশুশ্রম নিরসন হচ্ছে না। শিশু শ্রম নিরসনের লক্ষে বিশ্বব্যাপী ১২ জুন সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব শিশুশ্রম দিবস। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য হলো শিশুশ্রম বন্ধ করি- প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি।
(১২ জুন)২০২৪ রোজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, বাসা বাড়ি থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা সহ বিভিন্ন সেক্টরে শিশুশ্রম সয়লাব। সারা বিশ্বে শিশুশ্রম একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। মূলত দারিদ্রতার দায়ে শিশুগুলো শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়ে পড়ছে। বয়সের চেয়ে কাজের ভার বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ শিশুর জীবনই কর্মক্ষেত্রে অনিরাপদ হয়ে ওঠে। ঝুঁকিপূর্ণ অনেক কাজেই শিশুদের অঙ্গহানির ঘটনা প্রায়ই শোনা গেলেও এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে শিশুশ্রম বন্ধের একমাত্র উপায় হলো দারিদ্র্য নিরসন। তবে যেকোনো দেশের দরিদ্র অবস্থা সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই দেশের দারিদ্র্যতা দূরীকরণের আগ পর্যন্ত শিশুশ্রম বন্ধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন।
পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে শিশুদের জন্য নিরাপদ কর্মঘণ্টা ও কর্মপরিবেশ। শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির প্রসারসহ সারাদেশে দরিদ্র শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর ফলপ্রসূ উদ্যোগের মাধ্যমেও শিশুশ্রমের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে সরকারের দিক থেকে দৃঢ় পদক্ষেপসহ প্রয়োজন বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা। সেই সঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা শিশুশ্রম নিরসন করতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, শিশুশ্রম বন্ধে দেশের সকল সামাজিক, রাজনৈতিক অরাজনৈতিক,দলমত নির্বিশেষে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই শিশুগুলোই হলো আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং জন-সম্পদ। তাই এই জন-সম্পদ বাঁচাতে আমাদের সকলে একযোগে কাজ কাজ করা ছাড়া বিকল্প নাই।