শিরোনাম
সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত -৪ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার : মীর হেলাল গাজীপুরা পূর্বপাড়া বাইগারটেক  সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ মিছিল  সাধক আমিন ভাণ্ডারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তালায় বিআরডিবির মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন

তিনবার ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীদের তোপের মুখে ট্রেনের চালক পালিয়েছে ।

রিপোটারের নাম / ২৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বলাকা কমিউটার ট্রেন যাত্রাপথে তিনবার ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে তৃতীয় দফায় ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ট্রেনচালককে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপশি স্টেশনমাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার)।

 

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেলস্টেশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বিকল্প লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

 

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার শামীমা জাহান বলেন, ‘জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা বলাকা কমিউটার ট্রেনটি ৬টা ৫৩ মিনিটের সময় শ্রীপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে ইঞ্জিন বিকল হয়। এর আগে দুই দফা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা ফাতেমানগর ও ময়মনসিংহে ইঞ্জিন বিকল হয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা দাবি করেন, আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে তাদের তিস্তা ট্রেনে ঢাকায় পৌঁছে দিতে। এরপর আমি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিস্তা ট্রেনের বিরতি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর যথাসময়ে অর্থাৎ রাত ৮টা ২০ মিনিটের সময় আন্তনগর তিস্তা ট্রেন শ্রীপুর রেলস্টেশন অতিক্রম করার পরপরই বলাকার যাত্রীরা একসঙ্গে এসে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারের রুমে ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। মারধর করা হয় ট্রেনের লোকো মাস্টারকে। মারধরের পর পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক সদস্য ও স্থানীয়রা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে ইঞ্জিন এনে ট্রেনটি রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।’

 

বলাকা কমিউটার ট্রেনের যাত্রী সজীব হাসান বলেন, ‘আমি ঢাকার বিমানবন্দর যাবো। ট্রেনটি শ্রীপুর পৌঁছানোর আগে দুবার ইঞ্জিন বিকল রয়েছে। আমাদের অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। শ্রীপুর রেলস্টেশনে এসে আবার ইঞ্জিন বিকল হয়। এ সময় ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারকে অনুরোধ করেন, তিস্তা ট্রেনটি থামিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ সময় উত্তেজিত যাত্রীরা স্টেশনমাস্টারের রুমের সামনে দাঁড়ায়। এরপর স্থানীয়রা বেশ কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করেন।’

 

ট্রেনের যাত্রী পাবনার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘যাত্রীদের দিনব্যাপী অনেক ভোগান্তি হচ্ছে। যার কারণে তিস্তা ট্রেন থামানোর দাবি করে। কিন্তু স্টেশনমাস্টার গুরুত্ব না দিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে যাত্রীদের মারধর করান। ট্রেনের যাত্রীরা উত্তেজিত হলেও কাউকে মারধর করেনি। ভয়ের কারণে চালক পালিয়ে গেছেন।’

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘একটি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকলের জেরে যাত্রীরা হট্টগোল করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ