শিরোনাম
কর্মসূচি স্থগিত করে  পরীক্ষায় ফিরছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বিমান ভ্রমণে এই মুহূর্তে সক্ষম নন বেগম খালেদা জিয়া পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মা -ছেলে আটক লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নি‌হত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কলেজ কর্মসূচির উদ্বোধন ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত  আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের লাল কার্ড দেখাবে, চাঁদাবাজ ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম নগরফুল ও ওশান নেটওয়ার্ক এক্সপ্রেস-এর উদ্যোগে পথশিশুদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ, হেলথ ক্যাম্প ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়, আনোয়ারুল ইসলাম রাজু’র অংশগ্রহণ সাতক্ষীরা–১ আসনে নির্বাচনী উত্তাপ: মাঠে সক্রিয় জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ পোরশায় মাসিক সমন্বয় সভা এবং বুদ্ধিজীবি ও বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। 
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন

পড়াশোনা বিজ্ঞানে- কিন্তু প্রবেশপত্রে মানবিক বিভাগ ! 

রিপোটারের নাম / ৫০২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ মে, ২০২৩

 

আনোয়ার হোসেন আকাশ : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী ফাহিম আহম্মেদ। সে পড়ালেখা করেছে বিজ্ঞান বিভাগে। তবে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে সে দেখে তার নিবন্ধন হয়েছে মানবিক বিভাগে।

এজন্য তাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করেও মানবিকের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।যা মেনে নিতে পারছে না ফাহিম। এ কারণে ফাহিমসহ তার পরিবার বেশ চিন্তিত।

ফাহিমের অভিযোগ, নিবন্ধনের সময় অসুস্থ থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূলের কারণে তারর নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়। আবার নিবন্ধনের পর প্রিন্ট কপিতে তাকে না জানিয়ে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।

ফাহিমের সহপাঠীরাও বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে মানবিক বিভাগে ফাহিমের পরীক্ষা দেওয়া মেনে নিতে পারছে না।

ফাহিমের একাধিক সহপাঠী জানায়, দুই বছরে কোনো শিক্ষক বলেনি তার নিবন্ধন মানবিক বিভাগে হয়েছে। একসাথে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখাসহ ফরম পূরণ করেছি। ব্যবহারিকও এক সাথে করেছি। তাহলে ফাহিম মানবিকে কীভাবে হয়!

ফাহিম বলে, দুই বছর বিজ্ঞান বিভাগে পাঠদান করেছি। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য যে ফি লাগে তা দিয়ে ফরম পূরণ করেছি। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করে আমি মানবিক বিভাগে কীভাবে পরীক্ষা দিব। বিষয়টি দেখার পরে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষক আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলে। সে কারণে বাংলা পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছি।’

সে আরও বলে, আমার বিভাগ পরিবর্তন না হলে আমি মানবিকের বিষয়গুলো পাশ করতে পারব না। একটি ভুলের কারণে আমার ১০ বছরের স্বপ্ন নষ্টের পথে। এ কষ্ট আমি মেনে নিতে পারছি না।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মথূরাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, এ ভুলের জন্য ফাহিম দায়ী। তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মানবিকে। সে দেখে শুনে প্রিন্ট কপিতে স্বাক্ষর করেছে। পরীক্ষার ১০ দিন আগে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তখন কিছু বলেনি। পরীক্ষার আগের দিন বিষয়টি অবগত করেছে। এতে আমরাও বিব্রত। তার ইচ্ছে অনুযায়ী বিভাগ পরিবর্তনের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে চেষ্টা চলছে।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যার অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, মানবিক কারণে শিক্ষার্থীদের ভূল সংশোধন চলমান আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসলে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ