শিরোনাম
কালিহাতীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেলো চালকের চন্দনাইশে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান জিহাদে বদর দিবস উপলক্ষে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের সালাতু সালাম মাহফিল চন্দনাইশে হাশিমপুর ইউনিয়ন উত্তর শাখা গাউসিয়া কমিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বিয়ে করেছেন সমন্বয়ক রাফি । বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগীতায় ১১ ব্যাংকের ৬টি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ট্রাম্পের প্রশাসনের বিশ্বের ৪৩টি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা । ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আমন্ত্রণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিবের ইফতার । চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দীন বাজারে জেলা প্রশাসনের  অভিযান পাটগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী ইউনিটের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন

মানবাধিকার দিবসে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি ‘অন্যায় আচরণ’ : ওবায়দুল কাদের

রিপোটারের নাম / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

এইচটি বাংলা অনলাইন ডেস্ক : মানবাধিকার দিবসে রাজধানীতে আওয়ামী লীগকে সমাবেশে অনুমতি না দিয়ে বিএনপিকে কিভাবে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হলো, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিষয়টিকে ‘অন্যায় আচরণ’ বলছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যৌথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

মানবাধিকার দিবসে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বড় সমাবেশের আয়োজন করেও অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। তারা আমাদের বাইরে সমাবেশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। আমরা তাদের অনুরোধ সম্মানের সঙ্গে পালন করেছি। কিন্তু যারা নির্বাচন পণ্ড করার জন্য নাশকতা করছে, তাদেরকে মানবাধিকার দিবস প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি কিভাবে দিলেন? আমরা পেলাম না, আর যারা বিরোধী তাদের কেন অনুমতি দেয়া হলো-এ প্রশ্ন আমার থাকল। এটা হয়না।

সারাদেশে নেতাকর্মীদের আচরণবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সতর্ক পাহারায় থাকারা আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন বিরোধী শক্তি বিএনপির নেতৃত্বে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, জনগণকে নিয়ে এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। কাদের বলেন, নির্বাচনের পক্ষে সারা দেশে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। তারা হরতাল অবরোধ দিচ্ছে, কিন্তু মানুষ তা মানছে না।

বিএনপি ‘সন্ত্রাসনির্ভর’ রাজনীতি নিয়ে গণমাধ্যমে সেভাবে প্রতিবেদন আসছে না উল্লেখ করে গণমাধ্যমের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করলো, হাসপাতালে হামলা করলো অগ্নিসন্ত্রাস এসব নিয়ে কলাম আর প্রতিবেদন আসে না। সাংবাদিকের ওপর সেদিন হামলা হয়েছে। আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। এই অশুভ শক্তি শুধু দেশের না সাংবাদিকদেরও শত্রু। এদের বিরুদ্ধে আপনারা যদি বায়াস্ট হয়ে লেখেন সেটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

মনোনয়ন না পাওয়াদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো না কোনোভাবে নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করে, শেখ হাসিনা কখনো অবমূল্যায়ন করেন না। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, হামলা করলে মামলা হবে, মামলা হলে গ্রেপ্তার হবে, সাজা হবে। পুলিশ মারবেন এটা কি বিনা বিচারে যাবে? সারা বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে বিরোধী রাজনৈতিক দল যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাজপথে থাকায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ