মুহাম্মদ আরফাত হোসেন: চট্টগ্রাম-১৪ তথা চন্দনাইশ- সাতকানিয়া(আংশিক) আসনে নাগরিক কমিটির মনোনীত ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের তিন বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমানে বাংলাদেশ আ'লীগ কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরী ২৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চন্দনাইশের একমাত্র পাহাড়ি জনপথ ধোপাছড়ি ইউনিয়নের শীলঘাটা, চিরিংঘাটা, জিরো বুক, ধোপাছড়ি বাজার, ধোপাছড়ি নিচের বাজার, শান্তির বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী বলেন, আমি অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান। সাধারণ মানুষের সাথে মিলে মিশে আমার বেড়ে ওঠা। মানুষ কি চায়, কিসে মানুষের কল্যাণ হবে, আমার চিন্তা চেতনায় সব সময় এসব বিষয় কাজ করে। স্বভাবগত ভাবেই আমি কাজ পাগল, কাজের মধ্যে থাকতেই আমি ভালবাসি। মানুষ আমাকে বলে আমি একজন সফল মানুষ। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন করতে পারাকেই আমি চরম সফলতা হিসেবে দেখি। মূলত মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে আমার নেশায় পরিনত করেছেন জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। গণমানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বঙ্গবন্ধু কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে অনুপ্রানিত করেছে। জীবনের শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত আমি মানুষের কল্যাণে কাজ করে দোয়া নিতে চাই। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে ট্রাক মার্কায় আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করলে এই দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চল ধোপাছড়ি ইউনিয়নকে আলোকিত করে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি করবো। এসময় তিনি আরো বলেন, আমি তিন বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এই অবহেলিত ধোপাছড়ি জনপদের উন্নয়ন করেছি। সামনে আরো ব্যাপক পরিসরে উন্নয়ন করার জন্য আগামী ৭ই জানুয়ারি আপনাদের সকলের ভালোবাসা নিয়ে আল্লাহপাক যদি আমাকে কামিয়াবী করেন তাহলে আমি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও আরো বেশি করে উন্নয়ন করে যাব। এমপি নির্বাচতি হলে খাঁনহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণকরণ, দোহাজারী-লালুটিয়া-চিড়িংঘাটা-ধোপাছড়ি বাজার সড়কের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণকরণ, চেমিরমুখ থেকে গোলারপাহাড় হয়ে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন পর্যন্ত রাস্তায় ব্রীজ কালভার্টসহ পাকাকরণ, ধোপাছড়ি বাজার হইতে শান্তিরবাজার মংলার মুখ ত্রিপুরাপাড়া, ধোপাছড়ি বাজার সংলগ্ন ধোপাছড়ি খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, ধোপাছড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত ডাক্তার রাখার ব্যবস্থাকরণ, ধোপাছড়ি ইউনিয়নের সাইক্লোন শেল্টার ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন, উপযুক্ত স্থানে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্টান নির্মাণ ও প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে পর্যাপ্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করণ, মাদক সেবনকারী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করবো। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, ধোপাছড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম, মোজাম্মেল হক তালুকদার, চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমরফারুক, ইউসুফ জালাল, ধোপাছড়ি ইউপি মহিলা সদস্য লাকি আক্তার, উপজেলা যুবলীগ নেতা মোরশেদ বিন চৌধুরী (খোকন), ইউপি সদস্য আয়ুব, দিদারসহ স্থানীয় অসংখ্য নেতাকর্মীরা।