শিরোনাম
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা  মোহরা ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত । তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন  চন্দনাইশে হযরত শাহ্ জালাল (রহ:) ট্রাভেলস এন্ড ওভারসীজের শুভ উদ্বোধন আগামী রোববার শপথ গ্রহণ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিন। সংকটকালে সবসময় সশস্ত্র বাহিনী দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা  তালায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম ছাতক উপজেলা ইউএনও’র সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাত চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কর্মী সমাবেশ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা মারাত্মক সমীহ করত : জয়

রিপোটারের নাম / ২৩৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন। এই মানুষটির দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাঁকে মারাত্মক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।

মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর।

তিনি বলেন, সেই পরিস্থিতিতে তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়।

জয় লিখেছেন, তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের এর ওপরে, ঠিক তখনই পুরনো শত্রুরা এক হলো। প্রতিশোধ নিতে চাইল ১৯৭১-এর পরাজয়ের। ৭১-এর পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিল, পালানোর পথ করে দিল, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো। জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন। শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেলো রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র।

সবশেষে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ