এইচটি বাংলা ডেস্ক : নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৪তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার। ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়াপল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন।
আজ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ভাসানী) উদ্যোগে বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে হবে আলোচনা সভা। এ ছাড়া সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি নিয়েছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ। আর সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে আলোচনা সভা করবে বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টি।
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল শোষণমুক্ত সমাজ। ১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১০ মাস কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান তিনি। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন। এরপর তাঁর নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়।
পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী। এরপর ১৯৬৪, ১৯৬৫, ১৯৬৮ সালের আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মওলানা ভাসানী ভারতে চলে যান এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি হন।
আজীবন শ্রমিক-কৃষক ও মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন মওলানা ভাসানী। ১৯৩১ সালে সন্তোষের কাগমারী, ১৯৩২ সালে সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলা এবং ১৯৩৩ সালে গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।