সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় আবারও বদলি হয়ে আসছেন ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, যিনি ইতিপূর্বে নানা দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে সমালোচিত ছিলেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই জেলার ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তুমুল আলোচনা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালিদ জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির একান্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শুধু তাই নয়, তার শ্বশুড় সাতক্ষীরার আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন রাজনৈতিক কর্মী। যার প্রভাবও তিনি পূর্বে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খালিদ জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘ সময় সাতক্ষীরায় কর্মরত ছিলেন। তার সেই সময়কালেই স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা বঞ্চিত করা, এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। যা ক্রীড়া অঙ্গনের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। সাতক্ষীরায় তার সময়ে কখনো কোন ক্লাব কোনরুপ সহযোগীতা পায়নি। ক্রীড়া দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন খেলা না করেই সমস্ত বিল উত্তোলন করেন তিনি। এ নিয়ে কয়েকবার জবাবদিহিতার মুখোমুখি হন তিনি।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে যশোর ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা। তারা মানববন্ধন করে দাবি জানান, দুর্নীতিবাজদের যেন ক্রীড়া প্রশাসন থেকে দূরে রাখা হয় এবং খালিদ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরায় তার পুনর্বহন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন, অভিভাবক ও সাবেক খেলোয়াড়রা। তারা মনে করছেন, একজন বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকর্তা পুনরায় সাতক্ষীরার মতো ক্রীড়া সম্ভাবনাময় জেলায় নিয়োগ পাওয়া মানে ক্রীড়া উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া। সাতক্ষীরায় তিনি ফের বদলি হলে যশোরের মত এখানে একই পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার যথেষ্ট উপক্রম রয়েছে।
সাতক্ষীরার ক্রীড়া সংগঠকরা বলছেন, খালিদ জাহাঙ্গীরের মতো একজন বিতর্কিত কর্মকর্তার ফিরে আসা জেলার ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য হুমকি। তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দীর্ঘ সময় যাবত সাতক্ষীরাতে চাকরি করেন। সে সময়ে এখানকার আ.লীগের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। সাতক্ষীরায় অনেক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাৎ সহ জনপদের খেলোয়াড়দের নানাবিধ অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত করেছেন। তাই পুনরায় তার সাতক্ষীরায় বদলী হয়ে করে ফিরে আসা ক্রীড়া অঙ্গনের জন্য যথারীতি হুমকি স্বরূপ।