শিরোনাম
চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সিএমপির মতনিবিময় সভা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলন ছদাহার চেয়ারম্যান  ইসলামী ব্যাংক ছাতক শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে ভারতের সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পের কাজ চালু থাকবে : প্রণয় ভার্মা। ঘুমের মধ্যেই চলে গেলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা বিকাশ শেঠি  ১০ টা ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার অবস্থায় চলে গেছে :গভর্নর দেশের শিল্পখাতে অস্থিরতা অচিরেই কেটে যাবে : অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা   সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট রাজু লামা  জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন। চাঁদগাও মোহরা ওয়ার্ড বি এন পি সভাপতি জনাব জানে আলম জিকুর ৫৫ তম জন্মদিন গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের।
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

কলকাতায় সকালের নাস্তা, ঢাকায় দুপুরের খাবার, রাতের খাবার আগরতলায় ।

রিপোটারের নাম / ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

এইচটি বাংলা ডেস্ক: নয়া দিল্লিতে সকালের নাস্তা, লাহোরে দুপুরের খাবার আর কাবুলে রাতের খাবার- এক সময় এমন স্বপ্ন দেখতেন অনেকেই। কখনো না কখনো এটা সত্যি হবে, এমনটাই আশা ছিল তাদের। ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য থাকলে হয়তো সেটা সম্ভব হতেও পারতো। কিন্তু আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থান আর পাকিস্তানের জঙ্গিদের আশ্রয়ের কারণে সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন থেকে অনেকটা দূরে।

তবে এমন আরেকটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো মন চাইলেই কলকাতায় সকালের নাস্তা, ঢাকায় দুপুরের খাবার আর তারপর আগরতলায় রাতের খাবার খেতে যেতে পারবেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে, ঠিক সেভাবে দু’দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও যোগ হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক, রেল বা নদীপথের বর্তমান অবস্থা খুব ভালো। তবে এটা এখন দুদেশের মধ্যকার আবেগ, ভালোলাগা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক সুফলও বটে। তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করে বাংলাদেশ সরকার ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থাও যেমন উন্নত হয়েছে ঠিক তেমনি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ও কম লাগছে।

এই সেতু বাংলাদেশের জিডিপিতেও অবদান রাখছে। এতে বাংলাদেশের জিডিপি এক শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে দুই ঘণ্টা কম সময় লাগবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম টাইমস নাওকে বলেছেন, ‘১০ বছরের আগের ঢাকা আর এখনকার ঢাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বাংলাদেশ অনেক ভিন্ন ছিল। কিন্তু আপনি যদি এখন ঢাকায় পা তাহলে আপনি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে জাপান নির্মিত মেট্রো রেলে চড়তে পারবেন। এ ছাড়া আরও নতুন টার্মিনাল এবং আরও অন্য মেগা প্রজেক্ট আসছে।’

গত শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।’

এছাড়া বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা ঢাকার জ্যাম নিয়ে অভিযোগ করতেন। দীর্ঘ সময় ধরে জ্যাম, বিশেষ করে পিক আওয়ারে যেন গাড়ি নড়তোই না। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে। এ ছাড়া মেট্রো রেল পুরোদমে চালু হলে জ্যামের চিত্র আরও বদলে যাবে।

ঢাকার এ উন্নয়নে প্রতিবেশী ভারতও সুফল ভোগ করবে। ভারত একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের এ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ভারত সহজেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে। এখন যা দরকার তা হলো স্থিতিশীলতা। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনের পরে আরেক ধাপে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে দিল্লি ও ঢাকা উভয় লাভবান হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ