শিরোনাম
ইসলামের রাজনৈতিক দিকদর্শন ইসলামের নামে রাষ্ট্র নয়, ইসলামের রাজনৈতিক দিকদর্শন মানবতার রাষ্ট্র : আল্লামা ইমাম হায়াত  চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত। খেলাপি ঋণ আদায়ে পারটেক্স গ্রুপের সম্পদ নিলামে তুলেছে ব্যাংক এশিয়া। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন অপু বিশ্বাস। মিটফোর্ড হাসপাতালে নির্মম হত্যাকাণ্ড ও দেশব্যাপী সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কমলগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ ফিলিস্তিনকে অবিলম্বে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের ৫৯ জন এমপির আহ্বান ইসরায়েলি বাহিনীর  হামলায় ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত সাকিবকে জাতীয় দলের জার্সিতে মিস করছেন ভক্তরা। রাজসাক্ষী হওয়ায় শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা পেলেন সাবেক আইজিপি চুয়েটে ইউআরপি বিভাগের “বিদায় ও বরণ” অনুষ্ঠান সম্পন্ন
মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন

 

বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা মারাত্মক সমীহ করত : জয়

রিপোটারের নাম / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি লক্ষ্য পূরণে খুব ধীর-স্থির ও চৌকস ছিলেন। এই মানুষটির দৃঢ় মনোভাবের কারণে পাকিস্তানি শাসকরা পর্যন্ত তাঁকে মারাত্মক সমীহ করত। ২৪ ঘণ্টা গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে থেকেও তিনি বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়দফা বাস্তবায়নে সারাদেশে জনমত সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।

মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করেছিল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসায়। সেদিনও বীরদর্পে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘স্টপ শ্যুটিং’! পাকিস্তানিরা ভড়কে গিয়েছিল সেই মহান নেতার ব্যক্তিত্বের কাছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ৭১-এর ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে আবারো গড়ে তুলেছিলেন। একদিকে প্রায় শূন্য ব্যাংক রিজার্ভ, অন্যদিকে ভাঙাচোরা রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্ট-বাড়িঘর।

তিনি বলেন, সেই পরিস্থিতিতে তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু সবকিছু পুনর্গঠিত করেছিলেন। চালু করে ফেলেছিলেন কলকারখানাগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের প্রায় সব বড় ফোরামে নতুন রাষ্ট্রকে যুক্ত করেছিলেন তিনি। জাতিসংঘ, ওআইসি, কমনওয়েলথ সবাই বাংলাদেশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল এই মহান নেতার ক্যারিশমায়।

জয় লিখেছেন, তিনি যখনই সব প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার তখন ১১ শতাংশের এর ওপরে, ঠিক তখনই পুরনো শত্রুরা এক হলো। প্রতিশোধ নিতে চাইল ১৯৭১-এর পরাজয়ের। ৭১-এর পরাজিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ঘাতকদের সাহস দিল, পালানোর পথ করে দিল, বাংলাদেশ স্বৈরাচারের কবলে পতিত হলো। জাতির পিতার মৃত্যুর পর ধ্বংস হয়ে গেল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন। শুধু জনরোষের ভয়েই দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কট্টর ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারল না উগ্রবাদীরা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, সেই ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভোরের আজানের কিছু আগেই হামলা করেছিল বর্বর ঘাতকরা। বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর ভেসে গেলো রক্তে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসার নির্মম প্রতিদান দিলো বেঈমান মোশতাক-জিয়া এবং দলছুট মেজরদের খুনি চক্র।

সবশেষে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ