ঈদের ছুটির আগেই পোশাকশিল্পের মালিকপক্ষকে শ্রমিকের বোনাস পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি মার্চের বকেয়া বেতনও দিতে হবে।
রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে আজ বুধবার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি–টিসিসি) ১৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
সভায় শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুর রহমান, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, শ্রমিক নেতা আমিরুল হক, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকেরা যাতে ভালোভাবে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করতে পারেন, সে জন্য মালিকেরা ঈদের আগেই বোনাস দেবেন। এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী এপ্রিল মাসের সাত কর্মদিবসের মধ্যে মার্চের বেতন পরিশোধ করবেন। তবে দুই–একটি কারখানার মার্চের বেতন বকেয়া থাকলে তা অবশ্যই ঈদের ছুটির আগেই পরিশোধ করবে।
ঈদের ছুটির বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে কারখানাভেদে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ আলোচনা করে ঈদের ছুটির সিদ্ধান্ত নেবেন।
সভায় শ্রমিক নেতারা চলতি এপ্রিল মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতন দাবি করলেও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে টিসিসি সভায় কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যদি কোনো মালিকের সামর্থ্য থাকে, তাহলে দিতে পারেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সভায় শ্রমিক নেতারা ২৫ রোজার মধ্যে ঈদ বোনাস ও চলতি এপ্রিলের দুই সপ্তাহের মজুরি প্রদানের দাবি তোলেন। তবে সময়সীমা বেঁধে দিলে কিছু কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হতে পারে, এমন যুক্তিতে মালিকপক্ষ শ্রমিক নেতাদের এই দাবির বিরোধিতা করেন।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা আমিরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বেতন-ভাতা পরিশোধে সময় বেঁধে দিলে মালিকপক্ষের মধ্যে একধরনের তাগিদ থাকে। আর নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলে সবাই রিলাক্স থাকেন। তাতে শেষ মুহূর্তে কারও কারও পক্ষে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হয় না।