শিরোনাম
ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন প্রান্তে রক্ত কণিকা  ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে পশুর হাট । সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের অভিযানে বিপুলপরিমাণ সরকারি ঔষধসহ আটক-১ মৌলভীবাজারে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে রেড ক্রিসেন্টের সচেতনতামূলক মাইকিং নিবন্ধন ফিরে পেয়ে জামায়াতে ইসলামীতে প্রাণচাঞ্চল্য, নরসিংদীর মনোহরদীতে শুকরানা মাহফিল অনুষ্ঠিত। বিজিএমইএ’র নির্বাচনে জয়লাভ করেছে ‘ফোরাম’ জোট।  ছাতকে সাংবাদিক সাকির আমিনের উপর সন্ত্রসী হামলা আহত ৫ জন বিজিএমইএর নির্বাচনে অধিকাংশতে জয়ী ফোরাম জোট । ঈদের পর ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ: জানালেন মনোহরদী পৌর আমীর
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন

 

কবরস্তানে বাড়ী নির্মাণের পরিকল্পনা 

রিপোটারের নাম / ৩১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

 

মো: গোলাম কিবরিয়া , রাজশাহীর জেলা প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে কবরস্থান দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। পৌর সদর তানোর মোল্লাপাড়া পাড়া গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় অসহায় রহিমা বেগম বাদি হয়ে সাজু তার ভাই আফজাল ও আজমতকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও রাজশাহীর সিনিয়র জজ আদালতে জমি সংক্রান্ত প্রবেট মামলা চলমান। যার মোকদ্দমা নং টিএল ৫/২০২৩, মূল মোকদ্দমা নং মিস ৫২/২০১৪ ইং। এঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে এক প্রকার উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর গ্রামের রাস্তার পূর্ব দিকে জায়গা বাড়ি নির্মাণের জন্য খনন করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গাছ কাটা হয়। ওই জায়গায় চারটি কবর রয়েছে। জায়গার পূর্ব দিকে অসহায় রহিমা বেগমের বাড়ি। তার বাড়ির উত্তরে আজমত ও সাজুদের বাড়ি। সেখানেই কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোক ছিলেন তারা জানান এই জায়গার উপরে চারটি কবর ছিল এবং গাছ কেটে বাড়ি নির্মাণের জন্য খনন করেছে। যেখানে কবর আছে সে জায়গায় কিভাবে বাড়ি হয় এমন প্রশ্ন তাদের।

জানা গেছে, রহিমা বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার আগে বিগত ১৯৯৫ সালে জমি দান করেন। অবশ্য তাদের সংসারে কোন সন্তান ছিল না। মারা যাওয়ার আগে স্ত্রী রহিমা বেগমকে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু দলিলে উল্লেখ থাকে জীবিত অবস্থায় কোন দাবি দাওয়া করতে পারবে না। রহিমা বেগমের স্বামী মিরচান মারা যাবার পর তার ওয়ারিশ ভাতিজা জালিয়াতি করে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন সাজু, আফজাল ও আজমতের কাছে। জমির সঠিক মালিকানা পেতে বিগত ২০১৪ সালে সিনিয়র জেলা জজ আদালতে প্রবেট মামলা করেন রহিমা বেগম। মামলাটি চলমান রয়েছে। এঅবস্থায় রবিবার সকালের দিকে ওই জায়গায় বাড়ি নির্মাণের জন্য খনন করতে লাগলে ৯৯৯ কল করেন অসহায় রহিমা বেগম। সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়।

 

রহিমা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার স্বামী আমাকে জায়গার দলিল করে দিয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলায় আমি হেরে গেলে সেচ্ছায় জায়গা ছেড়ে দিব। কারন আমার লাঠি নাই, কথা বলার লোক নাই, আমি তো তাদের সাথে মারপিট করতে পারব না। আমার স্বামী সহ মোট চারটি কবর আছে। আমি মারা গেলে এখানেই কবর দিতে হবে। তারা জায়গাটা জবর দখল করলে কবর দেয়ার জায়গা থাকবে না।

 

 

অভিযুক্ত আজমত জানান, ওই মহিলার কিছুই নেই,কখনো পুলিশ আনছে। এসব করে কোন লাভ হবে না। কারন দলিল যার জায়গা তার। আদালতে মামলা চলছে কিভাবে জমির দখল নিতে চান জানতে চাইলে তিনি জানান, কিসের মামলা, আমাদের দলিল আছে, বাড়ি করব পারলে কেউ যান ঠেকাই বলেও দাম্ভিকতা দেখান।

ওসি আফজাল হোসেন জানান, আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। করলে আদালত অবমাননা করা হবে। বিষয় টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

 

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ