শিরোনাম
সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত -৪ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার : মীর হেলাল গাজীপুরা পূর্বপাড়া বাইগারটেক  সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ মিছিল  সাধক আমিন ভাণ্ডারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তালায় বিআরডিবির মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

কলকাতায় সকালের নাস্তা, ঢাকায় দুপুরের খাবার, রাতের খাবার আগরতলায় ।

রিপোটারের নাম / ২৩১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

এইচটি বাংলা ডেস্ক: নয়া দিল্লিতে সকালের নাস্তা, লাহোরে দুপুরের খাবার আর কাবুলে রাতের খাবার- এক সময় এমন স্বপ্ন দেখতেন অনেকেই। কখনো না কখনো এটা সত্যি হবে, এমনটাই আশা ছিল তাদের। ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য থাকলে হয়তো সেটা সম্ভব হতেও পারতো। কিন্তু আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থান আর পাকিস্তানের জঙ্গিদের আশ্রয়ের কারণে সে স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন থেকে অনেকটা দূরে।

তবে এমন আরেকটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা উকি দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো মন চাইলেই কলকাতায় সকালের নাস্তা, ঢাকায় দুপুরের খাবার আর তারপর আগরতলায় রাতের খাবার খেতে যেতে পারবেন।

আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। এর মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে, ঠিক সেভাবে দু’দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও যোগ হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক, রেল বা নদীপথের বর্তমান অবস্থা খুব ভালো। তবে এটা এখন দুদেশের মধ্যকার আবেগ, ভালোলাগা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক সুফলও বটে। তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করে বাংলাদেশ সরকার ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এটি বাংলাদেশের জনগণের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থাও যেমন উন্নত হয়েছে ঠিক তেমনি যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ও কম লাগছে।

এই সেতু বাংলাদেশের জিডিপিতেও অবদান রাখছে। এতে বাংলাদেশের জিডিপি এক শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সেতুর মাধ্যমে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে দুই ঘণ্টা কম সময় লাগবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম টাইমস নাওকে বলেছেন, ‘১০ বছরের আগের ঢাকা আর এখনকার ঢাকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বাংলাদেশ অনেক ভিন্ন ছিল। কিন্তু আপনি যদি এখন ঢাকায় পা তাহলে আপনি এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে জাপান নির্মিত মেট্রো রেলে চড়তে পারবেন। এ ছাড়া আরও নতুন টার্মিনাল এবং আরও অন্য মেগা প্রজেক্ট আসছে।’

গত শনিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন।’

এছাড়া বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা ঢাকার জ্যাম নিয়ে অভিযোগ করতেন। দীর্ঘ সময় ধরে জ্যাম, বিশেষ করে পিক আওয়ারে যেন গাড়ি নড়তোই না। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরিস্থিতি এখন বদলাতে শুরু করেছে। এ ছাড়া মেট্রো রেল পুরোদমে চালু হলে জ্যামের চিত্র আরও বদলে যাবে।

ঢাকার এ উন্নয়নে প্রতিবেশী ভারতও সুফল ভোগ করবে। ভারত একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়। বাংলাদেশের এ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে ভারত সহজেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে। এখন যা দরকার তা হলো স্থিতিশীলতা। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনের পরে আরেক ধাপে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে দিল্লি ও ঢাকা উভয় লাভবান হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ