আগামী বৃহস্পতিবার ২৯ জুন পালিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ইদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি করা। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের স্ব স্ব উদ্যোগে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।
এই ঈদ কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বসেছে গরুর বাজার বা কোরবানির হাট। এই হাটে গরু বেচাকেনার এক মহা উৎসব। কিন্তু এই পশুর হাট পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বলয় থাকছে না। ফলে পরিবেশ দূষণ সহ বিভিন্ন রোগ বালাই হওয়ার সঙ্কা থেকে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে নতুন করে আরেকটি রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এবং মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। আর তা হলো মশাবাহিত ডেঙ্গু। যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ঢাকার হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে রোগী। ফলে সাধারণ মানুষ জন খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছে। দেশে ডেঙ্গু জ্বরের সার্বিক পরিস্থিতি দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। সেই সাথে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলছে। চলতি বছরে প্রথম ৬ মাস ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে।প্রায় ১ সপ্তাহ যাবত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। গবেষণায় বলছে গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু মারাত্মক হারে বাড়তে পারে।এই ডেঙ্গু রোগটি বিশেষ করে ডেঙ্গু মশার কামড় থেকেই ছড়ায়। আর মশার উৎপত্তি হয় মূলত ময়লা আবর্জনা ঝোপ ঝাপরা সহ বিভিন্ন অসস্তিকর পরিবেশ থেকে। এই রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের নানান উদ্যোগেও কমছে না। ফলে আতঙ্কিত হয়ে আছে মানুষ। এর মধ্যে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ ; আর এই কোরবানির পশুর বর্জ্য যত্রতত্র ভাবে ফেলে রাখলেও মশার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। এজন্য সরকারের উদ্যোগে পশু কোরবানির নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এসব উদ্যোগের ফলেও কি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে? তার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি পরিবেশ দূষণ কে বাঁচাতে কিংবা ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে চাই তাহলে আসন্ন কোরবানির দিনে আমরা যারা কোরবানি করবো তারা সকলে স্ব স্ব উদ্যোগে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করার কোন বিকল্প নাই। আমাদের সকলের মনে রাখতে হবে যে কোরবানির বর্জ্য যেনো ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎস না হয়।