এইচটি বাংলা ডেস্ক : আজ বুধবার (১৪ মে) বেলা পৌনে ১ টার দিকে ককরাইল মসজিদ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে কিছু শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা আবাসন ভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবি নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে রওনা হন। বেলা পৌনে ১২ টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি ককরাইল মোড়ের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং তারপর টিয়ার শেল ও গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশ বেতন পায়, কিন্তু পুলিশ আমাদের গুলি ও গ্রেনেড দিয়ে আঘাত করেছে। আমরা জুলাই থেকে মুক্তি পায়নি, জুলাই চলছে, চলবে।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা হয়েছে, আমরা এর বিচার চাই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইজিপি জবাবদিহি করবেন, না হলে আমরা রাস্তা ছাড়ব না, আমাদের লাশ যাবে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ ঘটনাটি নিয়ে পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত, এবং শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।