সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি : তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ জলিল আহমেদসহ দু’ভাইয়ের বাস্তুভিটার ০৮ শতক রেজিঃদলিল ও ভিপি ৬৭৭ নং খতিয়ানের ৭০ বছরের বাস্তুভিটা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সাতক্ষীরা এর উচ্ছেদ কেস নং ৪/২৫ তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের উচ্ছেদ কেস নং ০১/২০২৪-২৫ বিজ্ঞ তালা সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ১৭/২৫ মামলায় বিজ্ঞ সহকারী জজ উক্ত কেস নথি জেলা প্রশাসকের দপ্তর হইতে আদালতে প্রেরনের জন্য উচ্ছেদ কেস নথি তলব করেছেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, তালা মৌজার সাবেক দাগ নং ২১৮ হাল দাগ ২০৪২ চলমান রাস্তা দাগ নং-২১৫, ১১২, ২১৩ হাল দাগ ২০৪৭ ডিপি ৬৭৭ শেখ জলিল আহমেদ ও মো. আব্দুস ছাত্তার এর নামে ০৮ শতক জমি বাস্তুভিটা হিসাবে ০৪ শতক ও ০৪ শতক জমিতে তারা বাস্তুভিটা তৈরী করে তাদের পিতা আনোয়ার হোসেন ১৯৫৯ সালে খরিদ করে বাস্তুভিটা তৈরী করে বসবাস করতেন। তিনি মারা গেলে তার দু’পুত্র অদ্যবধি বসবাস করে আসছেন। জরিপের ৩০ ধারা ও ৩১ ধারায় মামলা করে ডিপি খতিয়ান ৫৪৭ হাল দাগ ২০৪৭ জমি ১ একর ১৯ শতক রেকর্ডকৃত মালিক মো. সিরাজ উদ্দীন শেখ গং এর নামে রেকর্ড হয়। উক্ত রেকর্ড থেকে উল্লেখিত ৩০ ও ৩১ ধারায় স্বজমিনে তদন্ত করে বাস্তুভিটা হিসাবে তাদের দু’ভাইয়ের নামে ০৪ ও ০৪ শতক করে ৬৭৭ ডিপিতে ২০৪৭ দাগে রেকর্ড প্রাপ্ত হন। অবৈধ উপায়ে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করা হলে বিজ্ঞ আদালতে জেলা প্রশাসক সহ ৮ জনের বিবাদী করে বিজ্ঞ তালা সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ১৭/২০২৫ মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় গত ২০/০৪/২০২৫ তারিখ দোতরফা শুনানী অন্তে সকল পক্ষগুলিকে স্থিতিবস্থা বজার রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ প্রদান করেন। এ সবের পরও উচ্ছেদ কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য উচ্ছেদ কেস নথি সৃজন করায় গত ০৮/০৫/২৫ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে উচ্ছেদ কেস নথি তলবের প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানীঅন্তে আবেদন গ্রহন করে দোতরফা শুনানীর জন্য ১৮/০৫/২০২৫ তারিখ দিন ধার্য করেন। গত ১৮/০৫/২০২৫ তারিখ দোতরফা শুনানী অন্তে বিজ্ঞ আদালতে বিচারধীন মামলা চলমান থাকায় এবং স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ থাকা সত্বেও উচ্ছেদ কেস সৃজন করার ন্যায় বিচারের স্বার্থে এবং উচ্ছেদ মামলায় নথি তলব করার আবেদন মজ্ঞুর করিয়া জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা কার্যালয় থাকা উচ্ছেদ নথি বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের জন্য গতকাল ২০/০৫/২৫ তারিখ নথি তলব পত্র প্রেরণ করেছেন।
জনৈক বিজ্ঞ আইনজীবি জানান, বিজ্ঞ আদালতে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পাবেন। ১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ চতুর্থ অধ্যায় ৬ ধারা বাস্তু হইতে উচ্ছেদ ইত্যাদি নিষিদ্ধ ঃ কোন পল্লী এলাকার মালিক কর্তৃক বাস্তু হিসাবে ব্যবহৃত কোন জমি কোন কর্মকর্তা আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের দ্বারা আটক ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করন বা বিক্রয় সহ সকল আইন গত প্রক্রিয়া হইতে অব্যাহিত পাইবে এবং উপযুক্ত মালিককে কোন উপায়েই উক্ত জমি হাইতে বঞ্চিত বা বেদখল বা উচ্ছেদ করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে এই ধারায় কোন কিছুই কোন আইনের অধীন অনুরুপ বাস্তু অধিগ্রহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবেনা।
২০২৩ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যদেশের ৬ ধারায় বাস্তু হইতে উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিজ্ঞ জজ আদালতে উচ্ছেদ মামলা করে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি ছাড়া বাস্তু হইতে উচ্ছেদ করা যাবে না। বাস্তু সুরক্ষা আইন অমান্য করে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করার বিজ্ঞ আদালত উচ্ছেদ নথি তলব এর প্রার্থনা করে তলবনা পত্র প্রেরণ করে দেন।