শিরোনাম
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ডাক, চট্টগ্রামে সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন নগরফুল হলিডে স্কুল পটিয়া শাখায় ১১তম মৌসুমের তৃতীয় ধাপে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে উদ্ধারের  কাজ এখনো চলছে। পাটগ্রামে রাস্তার মাঝে গাছ রেখেই  পিচ ঢালাই ও কার্পেটিং , দুর্ঘটনার আশঙ্কা । সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মোস্তফা হাকিম ব্লাড ব্যাংকের হেল্থ চেক-আপ ট্রেনিং ২০২৫ অনুষ্ঠিত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে। আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে উজ্জ্বল ছাতকের কন্যা উম্মে ফাতেমা স্পিহা-জাতীয় মঞ্চে ছনখাইড় কন্যার অনন্য সাফল্য কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন কালিহাতীতে শিয়ালের আকস্মিক হামলায় বৃদ্ধা গুরুতর আহত, আতঙ্কে এলাকাবাসী
বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ডাক, চট্টগ্রামে সবুজ বাংলার তৃতীয় বর্ষ উদযাপন

রিপোটারের নাম / ১১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

রেজাউল মোস্তফা , চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য ও ভাবগম্ভীর এক আলোচনা ও উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণমাধ্যমকর্মী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও সুধীজনের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের উদ্যোগে নগরীর ঐতিহ্যবাহী আন্দরকিল্লায় অবস্থিত বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি কার্যালয়ে, সিটি কর্পোরেশন শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের স্বাগত জানান দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জনাব রুপম ভট্টাচার্য। সুশৃঙ্খল ও প্রাণবন্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে পুরো আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার শীমা নাসরিন, যিনি তার সাবলীল বক্তব্য ও উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। পাশাপাশি পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা, আয়োজনের পরিকল্পনা ও সার্বিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক মুহাম্মদ এমদাদুল হক মুনতাসির, স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেডিও বেতারের পরিচালক জনাব মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, একটি গণমাধ্যম কেবল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যম নয়, বরং সমাজ গঠনের অন্যতম চালিকাশক্তি। দৈনিক সবুজ বাংলা অল্প সময়ের মধ্যেই যে বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে, তা প্রশংসার দাবিদার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও পত্রিকাটি দেশ ও জাতির স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বপন কুমার দাশ, লেখক ও সঙ্গীতশিল্পী এবং বাংলা একাডেমি ও বেতার-টেলিভিশনের সদস্য। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কলম সমাজকে আলোকিত করার শক্তিশালী হাতিয়ার। সত্য, সৌন্দর্য ও মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরার মাধ্যমে দৈনিক সবুজ বাংলা পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ড. পিজুস দত্ত, সাবেক যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজের নানা সংকটে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা মানুষকে সঠিক পথে দিকনির্দেশনা দেয় এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এস এম পিন্টু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, দৈনিক সকালের সময়; কামরুল হুদা, ব্যুরো প্রধান, দৈনিক নিরপেক্ষ; এবং কমল চক্রবর্তী, সিনিয়র এডিটর, চট্টলার কণ্ঠ। তারা সবাই এককণ্ঠে বলেন, দৈনিক সবুজ বাংলা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পাঠকসমাজে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করেছে। তারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাহসী, নৈতিক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, সত্য প্রকাশে আপসহীন থাকার মাধ্যমেই গণমাধ্যম তার মর্যাদা ধরে রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, কবি, লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, সুধীজন এবং দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার নিয়মিত পাঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ হয়ে ওঠে। আলোচনা পর্বে অতিথিরা দৈনিক সবুজ বাংলার অগ্রযাত্রার স্মৃতিচারণ করেন এবং ভবিষ্যৎ পথচলায় পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে কেক কাটার মাধ্যমে দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয়। আনন্দঘন পরিবেশে সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান এবং দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য ও দীর্ঘ পথচলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। পুরো আয়োজনটি গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব, সৌহার্দ্য ও দায়বদ্ধ সাংবাদিকতার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উপস্থিত সকলের মনে গভীর ছাপ ফেলে।

 

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ