বিজিএমইএ হচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন। আর কয়েক দিন পরে বিজিএমইএ পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। নির্বাচনে তিনটি জোট থাকলেও ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,অনিয়ম-দুর্নীতিসহ , বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এইচটি বাংলা টিভির সঙ্গে কথা বলেছেন ফোরামের সদস্য সাকিফ আহমেদ সালাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার এমদাদুল হক।
এইচটি বাংলা : ফোরাম প্যানেল থেকে ভোটারদের ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন ।
সাকিফ আহমেদ সালাম : ফোরাম সবসময়ই সদস্যদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। এবারের নির্বাচনে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং আধুনিক বিজিএমইএ পরিচালনার। আমরা বিশ্বাস করি, সদস্যদের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব।
এইচটি বাংলা : বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদে আসলে আপনারা সর্বপ্রথম কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন?
সাকিফ আহমেদ সালাম : আমরা সর্বপ্রথম কাজ করবো সদস্য সেবা, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গার্মেন্টস শিল্পের স্বার্থ রক্ষার জন্য। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে একটি রেসপন্সিভ সিস্টেম চালু করবো।
এইচটি বাংলা : আপনারা দায়িত্বে এলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে কি কোন পরিকল্পনা থাকবে?
সাকিফ আহমেদ সালাম : অবশ্যই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাই এই শিল্পের মেরুদণ্ড। আমরা তাদের জন্য সহজতর নীতিমালা, ফাইনান্স অ্যাকসেস, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সেবার একটি নিরবিচ্ছিন্ন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলবো।
এইচটি বাংলা : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নিয়ে কি কি ধরনের কাজ করবেন যা তাদেরকে দেশি-বিদেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে?
সাকিফ আহমেদ সালাম : আমরা বাজারভিত্তিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি সংযোজন, বিদেশি বায়ারদের সঙ্গে সংযোগ, এবং সার্টিফিকেশন সাপোর্ট নিশ্চিত করবো। এছাড়া সামাজিক কমপ্লায়েন্স ও কস্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেবো।
এইচটি বাংলা : আপনারা পর্ষদে আসতে পারলে কি জবাবদিহিতা থাকবে?
সাকিফ আহমেদ সালাম : জবাবদিহিতা ফোরামের অন্যতম প্রধান নীতি। আমরা নিয়মিত সদস্য আপডেট, ট্রান্সপারেন্ট বাজেট রিপোর্টিং, এবং ওপেন ডিসকাশন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করবো।
এইচটি বাংলা : আপনারা কোন কোন উদ্যোগ নিবেন যা সকল সদস্য উপকৃত হবে?
সাকিফ আহমেদ সালাম : • নীতি সহায়তা ও ব্যুরোক্রেসি কমানো
• সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও বায়ার কানেকশন
• এক্সপোর্ট ডকুমেন্ট প্রসেস সহজকরণ
• ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা প্রদান
এইচটি বাংলা : বিজিএমইএতে বিগত সময়ে অনেক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে, আপনারা পর্ষদে আসলে এই অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিবেন?
সাকিফ আহমেদ সালাম : আমরা “জিরো টলারেন্স” নীতিতে বিশ্বাস করি। প্রতিটি কার্যক্রমে নিরপেক্ষ অডিট, ডিজিটাল ট্র্যাকিং ও সদস্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো যাতে কোনো অনিয়ম টিকতে না পারে। একজন সদস্যও যেন বঞ্চিত না হন, সেটাই হবে আমাদের অঙ্গীকার।