লুৎফুর রহমান শাওন, সিলেট ব্যুরোঃ
সোনালী ব্যাংক পিএলসি তামাবিল স্থলবন্দর শাখার ১ লাখ টাকা ফেরত দিলেন ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন। গত (২১ মে) বুধবার বিশ্বাস কন্সট্রাকশন ছাতক শাখার সাইট ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন কম্পানীর কাজের জন্য সিলেটের জাফলং জিরো পয়েন্টে গেলে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সোনালী ব্যাংক পিএলসি সিলেট তামাবিল স্থলবন্দর শাখায় বিকাল ০৩ ঘটিকা ৪০ মিনিটের সময় ঐ শাখা থেকে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা চ্যাকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। ব্যাংকারের ভুলের কারণে ৩ টি বান্ডিলে করে মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা চলে আসে। তাৎক্ষণিক ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন মনে করেছিলেন ২ টি বান্ডিলে ১ লাখ ও আরো একটি বান্ডিলে ৮৩ হাজার টাকা আছে। কিন্তু ৩ টি বান্ডিলে মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা চলে আসে। যা ব্যাংক থেকে সাইটে এসে টাকা গুনে উনি বুঝতে পারেন। ১ লাখ টাকা বেশি চলে আসছে বুঝতে পেরে তিনি তাৎক্ষণিক উনার কম্পানী বিশ্বাস কন্সট্রাকশনের এমডি আশরাফ উদ্দিনকে জানান। উনার এমডি ব্যাংক ম্যানেজার ও উনার সাথে যোগাযোগ করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সোনালী ব্যাংক পিএলসি তামাবিল স্থলবন্দর শাখায় ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন গিয়ে ভুলকৃত ১ লাখ টাকা ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। সোনালী ব্যাংক পিএলসি তামাবিল স্থলবন্দর শাখার ম্যানেজার মোঃ জাকির হোসেন জানান আমাদের ব্যাংকের ভুলের কারণে ১ লাখ টাকা বেশি চলে যায় ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেনের কাছে তিনি তা বুঝতে পেরে আমাদের সাথে উনার এমডি ও উনি যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকা ব্যাংকে এসে আমার কাছে দিয়ে যান। উনি একজন সৎ ও মহৎ হৃদয়ের মানুষ বর্তমান সময়ে এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। আমরা উনার জন্য দোয়া করি। বিশ্বাস কন্সট্রাকশন ছাতক শাখার সাইট ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন জানান আমি কম্পানীর কাজের জন্য সিলেট জাফলং জিরো পয়েন্টে গেলে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি সোনালী ব্যাংক পিএলসি তামাবিল স্থলবন্দর শাখায় ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জন্য চ্যাক লিখে ক্যাশ কাউন্টারে দিলে উনারা আমাকে ৩ টি বান্ডিল দেন আমি মনে করেছিলাম ২ টি বান্ডিলে ১ লাখ টাকা ও ১ টি বান্ডিলে ৮৩ হাজার টাকা আছে আমি শুধু ৮৩ হাজার টাকার বান্ডিল গুনেছি বাকি ২ টি বান্ডিলে ৫০ হাজার করে ১ লাখ হবে ভেবে গুনি নাই। পরবর্তিতে সাইটে এসে ঐ ২ বান্ডিল গুনে দেখতে পাই ঐ ২ বান্ডিলে ২ লাখ টাকা আছে। আমি তাৎক্ষণিক আমার কম্পানীর এমডি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করি তিনি ঐ শাখার ম্যানেজারে সাথে যোগাযোগ করে ও আমার সাথে কথা বলে ঐ ১ লাখ টাকা আমি সোনালী ব্যাংক পিএলসি তামাবিল স্থলবন্দর শাখায় গিয়ে ম্যানেজারের নিকট দিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন অন্যের টাকার প্রতি আমার কোনো লোভ কোনোদিনও ছিলো না ভবিষ্যতেও থাকবে না ইনশাআল্লাহ্। আমি সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশি।