শিরোনাম
সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল । উন্নয়ন কর্মী ইয়াকুবের নদী দখল করে পিলার নির্মান,প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত তালায় ৩ দিন ব্যাপি কৃষি মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত -৪ বাংলাদেশের সংকটে বারবার কান্ডারীর ভূমিকায় জিয়া পরিবার : মীর হেলাল গাজীপুরা পূর্বপাড়া বাইগারটেক  সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠিত। পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ দুঃশাসনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গণ মিছিল  সাধক আমিন ভাণ্ডারীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন তালায় বিআরডিবির মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের নামে অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগ
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন

চন্দনাইশ এসিল্যান্ড অফিসে কে এই শিবলু ? মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারি করার অভিযোগ

রিপোটারের নাম / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাযার্লয়ের কর্মচারী না হওয়া শর্তেও হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে নামজারি করে দেয়ার দায়িত্ব নেয় শিবলু নামের কে এই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীদের মধ্যে জামাল উদ্দিন ও আবুল হাশেম। জেলা প্রশাসকের বরাবরে দেয়া গত ৩ সেপ্টেম্বরের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মধ্যম হারলার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. নাজমুল হোসাইন প্রকাশ শিবলু (২২), ২০১১ সালে তার কম্পিউটার দোকান থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইউনিয়ন পরিষদের প্যাড, সীল, জাল এনআইডি, বিভিন্ন সীল জব্দ করে মোবাইল কোর্টে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়। এবং দোকানটি সীলগালা করে দেয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ই-নামজারি করার সময় তাকে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য বেসরকারিভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তৎকালীন সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিবেদিতা চাকমা অফিস থেকে বের করে দেয় শিবলুকে। পরবতীর্তে এক সময় পুনরায় কৌশলে অফিসে ডুকে যায় শিবলু। সে থেকে শিবলু সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের কর্মচারীদের মতো নামজারির কন্ট্রাক নিতে শুরু করে কর্মকর্তাদের অজান্তে। এতে অনেকের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রতিটি নামজারির জন্য ৩০, ৪০, ৫০, এমনকি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া শিবলু উপজেলা সদরে একটি কম্পিউটার সেন্টার খুলে সেখানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের নামজারি ফাইল নিয়ে এসে নিজের মতো করে ভূমি অফিসের আইডি ব্যবহার করে কম্পিউটারে কাজ করে। তার দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন না করলে ফাইলের ত্রুটি দেখিয়ে মামলা খারিজ করে দেন বলেও উল্লেখ করা হয়। শিবলুর দোকান থেকে পাঠানো ফাইলগুলোতে এসএম সংকেত দিয়ে পাঠানো হলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে নামজারি হয়ে যায় কন্ট্রাকের মাধ্যমে। বলতে গেলে এ শিবলুর নিকট অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে চন্দনাইশের সাধারণ মানুষ। শিবলুর নিজস্ব কোনো জায়গা সম্পত্তি না থাকলেও উপজেলা সদরে এসি সংযুক্ত কম্পিউটারের দোকান, বাসায় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের ফার্নিচার, মোটা অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অথচ সে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে ডাটা ব্যাচ এন্ট্রির কাজ করে ৭ হাজার টাকা বেতন পায় বলে জানান। এ ব্যাপারে মো. নাজমুল হোসাইন প্রকাশ শিবলু বলেছেন, যারা অবৈধভাবে তার নিকট থেকে সুযোগ নিতে চেয়েছে না পেয়ে এ অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া সে সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে কিছুদিন আগে ডাটা এন্ট্রির কাজে মাষ্টার রুলে কাজ করেছেন বলে জানান। বিদায়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেছেন, সে তাদের অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করেছে তবে সে অফিসিয়াল কোনো কর্মচারী নয়। সে অফিসের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার কথা এবং নামজারি ফাইলের কন্ট্রাক নেয়ার বিষয়টি সত্য নয়। বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেছেন, তিনি শিবলু নামে কাউকে ছিনেন না। তিনি সম্প্রতি যোগদান করেছেন অভিযোগের বিষয়েও কিছুই জানেন না বলে জানান। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমার সাথে এবং অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের সাথে কথা বলে শিবলু সম্পর্কে জেনেছেন এবং বহিরাগত কোনো ব্যক্তিকে অফিসে স্থান না দেয়ার জন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি)’কে বলেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে কোনো বহিরাগত নেই বলে জানান। ভুক্তভোগীরা এ শিবলু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কতৃর্পক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ