ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি মহল্লার ডা.আফছার উদ্দিনের বাড়ির সামনে বাসস্ট্যান্ডের কাছে খালি যায়গা ভাড়া নিয়ে একটি টিনসেড দোকান নির্মান করে জগন্নাথ দাস নামে এক প্রতারক।এখানে একটি ফার্নিচারের দোকান খোলে শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিত জগন্নাথ দাস। কারও কাছ থেকে মালামাল আবার কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দিত না জগন্নাথ দাস। এমনকি কয়েকটি ব্যাংক থেকে ও টাকা তোলে টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জগন্নাথের বিরুদ্ধে। যায়গার মালিক ডা. আফছার উদ্দিন জানান আট হাজার টাকা মাসিক ভাড়া নির্ধারন করে এক বছর দুই মাস দশ দিনে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬শ ৬৬ টাকা ভাড়া বাবত পাওনা এবং আমার কাছ থেকে সরল বিশ্বাসে হাওলাত নিয়েছে আরও ৩০ হাজার টাকা। এসব টাকা চাইলে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আমাকে হেন্স্ত করে সেনাবাহিনীর কাছে যাবে বলে ভয় ভিতি দেখায় জগন্নাথ। তাই আমি আমল গ্রহনকারি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ছাতক সুনামগঞ্জে একটি সি আর মামলা দায়ের করি। আশা ব্যাংক ছাতক শাখার অফিসার ভানুলাল জানান আমাদের শাখা থেকে এক লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে মাত্র তিন কিস্তি পরিশোধ করে বাকি টাকা নিয়ে উধাও রয়েছে জগন্নাথ। ফোন দিলে কখনো ফোন ধরেনা।গাছ ব্যবসায়ী জুয়েল জানান আমি বিশ হাজার টাকা পাই থানায় গিয়ে এক মাসের মধ্যে দেওয়া কথা থাকলেও
তিন মাস ধরে টাকা না দিয়ে এখন তার খোঁজ পাচ্ছি না। সে আমার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এভাবে অনেক ব্যবসায়ীরা প্রতারনার শিকার হয়ে জগন্নাথে দাসকে খোজ ছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত জগন্নাথ দাসের সেল ফোনে কল দিলে এ প্রতিবেদকের ফোন ধরেনি জগন্নাথ দাস।