এইচটি বাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, বিতর্ক মানুষের ব্যক্তিত্বকে আলোকিত ও বুদ্ধিসম্পন্ন করে। বিতর্কে অংশ নিয়ে নিজেকে যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলা যায়। অন্ধভাবে যেকোনো বিষয়ের অনুকূলে থাকার চেয়ে যুক্তিভিত্তিক অনুধাবনে মনোনিবেশ করা যায়। এটি জ্ঞানকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবে কারণ এখানে যুদ্ধ থেকে শুরু করে অর্থনীতি হয়ে জীবনের নানাবিধ অংশ জানা যায়। দক্ষতার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিতর্কের কার্যকারিতা অনেক।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত “বিপ্লব হোক যুক্তিতে, মম মাতৃভূমির মুক্তিতে” শীর্ষক স্লোগানে “১৮তম আন্ত:বিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব এবং চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির চিফ মডারেটর ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ বশির জিসান। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি জনাব গোলাম মুরাদ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জনাব অনুরাগ নন্দী। এতে সঞ্চালনা করেন অনিন্দ্য সরকার অংকন ও মৌমিতা দত্ত।
উল্লেখ্য, ১৮তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এমআইই লজিক্যাল থিংকার্স এবং রানার আপ হয়েছে পিএমই ভূতাত্ত্বিক তরঙ্গ। এতে প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক হন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজুল কবির আবরার এবং ফাইনালের সেরা বিতার্কিক এমআই বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ ইমদাদুর রহমান। এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ১৮টি দল অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে “আড্ডারু গল্পবাজ ২০২৫” শীর্ষক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ছিলো কম্পিউটার ম্যানিয়া এবং কো-স্পন্সর হিসেবে ছিলো ইক্যুইটি।