এমদাদুল হক , স্টাফ রিপোর্টার: আজ রবিবার সকাল আনুমানিক ৮:৩০ ঘটিকায় চট্রগ্রাম বায়েজীদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মাইজভান্ডার চত্বর সংলগ্ন তথা পুলিশ বক্সের নিকটস্থ পেট্রোল পাম্পের পাশে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত রিক্সাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর ।
আজ সকালে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’কে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৃষ্টির ভিতরেই পরিবারের রুটিরুজির জন্য বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলো এবং পাম্পের পাশে যাত্রীর জন্যই হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন তিনি কারন একটা ভাড়া পাইলে হয়তো তার পরিবারের জন্য খাবার নিয়ে ফিরতে পারবেন কিন্তু নিয়তি তা আর হতে দিলোনা না।
কে জানতো এটাই ছিলে তাঁর জীবনের শেষ অপেক্ষা! কে জানতো তার আর পরিবারের কাছে ফেরা হবেনা!
হঠাৎ করেই মাথার উপরে থাকা অপরিকল্পিতভাবে টানা বিদ্যুৎতের সংযোগ হতে নিম্নমানের হাইভোল্টেজের একটি তার ছিঁড়ে সরাসরি রিক্সা চালকের শরীরে পড়লে মূহুর্তের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। চালকের শরীল ও রিক্সাটিতে আগুন ধরে যায় এক পর্যায় পাম্পের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৬ নং বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভবত যায়নি। এই ঘটনায় আর কেউ হতাহত হয়নি পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য কাজ করতেছিল বায়েজিদ থানা পুলিশ।
এখানে বলা বাহূল্য যে, দূর্ঘটনা সংঘটিত স্থানটি চট্রগ্রাম শহরের ব্যাস্ততম স্থানের একটি। আজকে ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’র জন্য সরকার স্কুল কলেজসহ গার্মেন্টস শিল্প কারখানা বন্ধ রাখায় চট্রগ্রাম শহরের লোকজন জরুলী প্রয়োজন ছাড়া তেমন রাস্তায় হয়নি এবং দূরর্ঘটনা কবলিত স্থানটির পাশেই রয়েছে সু-নামধন্য কে ডি এস গার্মেন্টস ও অন্যান্য মিল ফেক্টরি এগুলো বন্ধ থাকায় জায়গাটিতে লোকসমাগম তেমন ছিলোনা।