মুহাম্মদ আরফাত হোসেনঃ সম্প্রতি চন্দনাইশে কিশোর গ্যাংকের তৎপরতায় ছিনতাই, চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৫ মে দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভার আবু তালেব মুন্সি বাড়ী এলাকায় গরু চুরির প্রস্তুতিকালে নাম্বার বিহীন পিক-আপসহ চকরিয়ার জাকির হোসেনের ছেলে গাড়ির হেলপার মো. শাহেদকে (৩১) স্থানীয় জনগণ আটক করে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃত গরু চোর ও গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত শাহেদ স্থানীয়দের বলেছেন, গাড়ির মালিক একই এলাকার শওকত তাকে এবং আরেকজনকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জনগণ কতৃক ধৃত একজন ও গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে চুরি সংগঠিত হওয়ার আগে জনগণ আটক করেছে। অন্যান্য চুরির মামলায় আটক দেখিয়ে রিমান্ডে এনে তথ্য বের করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
এদিকে গত ২৪ মে রাতে উপজেলার পাঠানীপুল এলাকায় পানীয় সরবরাহকারী কোম্পানী সানাফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আবদুল জব্বার ও টেম্পু চালক মো. নাসিরকে মারধর করে নগদ ২ লাখ টাকা ও ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটককৃতরা চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকার কিশোর বয়সের। এদের পিছনে কে কাজ করছে বিষয়টি খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এদিকে গত ২২ মে ভোর রাতে পৌরসভার বুলা তালুক এলাকার মুদির দোকান শুক্কুর স্টোরের শার্টার ভেঙ্গে দোকানে থাকা কোল্ড ডিংক ভর্তি ফ্রিজ, ৩৫ বস্তা চাউল, ৩০০ পিছ ডিম, ২ ও ৫ লিটার ওজনের ৩০ বোতল সয়ামিন তৈল, ৫০ প্যাকেট গুড়ো দুধ, চিনি, ডাল, সাবান হুয়েল পাউডার, মোবাইল সেট, ক্যাশ বক্সে থাকা নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে দোকানের মালিক আবদুল শুক্কুর বাদী হয়ে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা অফিসার ইনচার্জ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।