শিরোনাম
বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্যে ওজন হ্রাস ও নকল পণ্যের বিপণন বন্ধে সিআরবি’র আবেদন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে রেজিস্ট্রেশন চলছে সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস স্কুলে আকিজ ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সারিতে ট্রাক, বাড়ছে যানজট চন্দনাইশে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ার চৌধুরী চন্দনাইশে ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল অনুষ্ঠিত ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউকের নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে বাংলাদেশ শাখার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা। সাতক্ষীরায় বদলি হয়ে আসছেন বিতর্কিত ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, ক্রীড়া অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের আয়োজনে ওয়ায়েজীনদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ শামীম শাহরিয়ার পোরশার সোমনগরে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

১৪ ঘণ্টা পর খালে পড়া সেই শিশুর মরদেহ উদ্ধার।

রিপোটারের নাম / ২০৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

 

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: নিজের বাড়ির সামনেই মিলল খালে পড়া সেই শিশুর মরদেহ চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে খালে পড়ে নিখোঁজ ছয় মাস বয়সি শিশু সেহরিসের মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় দুর্ঘটনার স্থান থেকে ৮ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে নিজ বাড়ির কাছাকাছি জায়গা চাক্তাই খাল থেকে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, আনসার ও পুলিশ সদস্যদের টানা অভিযানের পর সকালে চাকতাই খালে ভেসে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সেটি উদ্ধার করে তার নিজ বাড়িতে আনা হয়।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নবাব হোটেল সংলগ্ন এলাকায় শিশুটির মা ও দাদির সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ হিজলা খালে পড়ে যায়। স্থানীয়রা রিকশাচালককে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করলেও শিশুটির মা ও দাদিকে পানির প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পরে ব্রিজের নিচে পাইপে আটকে পড়া অবস্থায় সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সহায়তায় তাদের জীবিত উদ্ধার করলেও নিখোঁজ শিশুটি। রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান মেলেনি।

ঘটনার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রামে নালা ও খালের অরক্ষিত অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত চার বছরে এমন দুর্ঘটনায় অন্তত সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে বেশ কয়েকজনই শিশু।

সেহরিশের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিবারই এমন দুর্ঘটনার পর কিছুদিন আলোচনায় আসে, কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান হয় না। প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।’

শিশুটির পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবি, খাল ও ড্রেনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যারিকেড ও কভার বসানো হোক, যেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর না ঘটে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ