শিরোনাম
৯ম তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজিমুশ্শান পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল। বিএনপি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিলেটে পাথর লুটে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির নেতা সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ইয়ূথ ক্যাডেট ফোরাম চট্টগ্রাম জেলার দ্বি-বার্ষিক সন্মেলন-২০২৫ সম্পন্ন নেপাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল দল রওনা দিয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের আস্থা ঢাকা ওয়াসা  ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বিজয় হয়েছে নেপালে ছাএ জনতার বিক্ষোভে নিহত ৮ ছাতকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কমিটি গঠন
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

১১০৬ শতাংশ জমি থাকার তথ্য মিলেছে বিএসবি গ্লোবালের মালিকের যার বাজারমূল্য ৬০০ কোটি।

রিপোটারের নাম / ১৮৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : গুলশানের প্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক-এর বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিদেশে উচ্চশিক্ষার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতারিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

 

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিএসবি গ্লোবালের মালিক খায়রুল বাশার বাহারের ১ হাজার ১০৬ শতাংশ জমি থাকার তথ্য মিলেছে। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার দুটি মৌজায় থাকা এসব জমির দলিলমূল্য ১০২ কোটি টাকার বেশি। তবে এসব জমির বাজারমূল্য অন্তত ৬০০ কোটি টাকা বলে ধারণা করছেন জমি বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়াও রাজধানীর গুলশান, বারিধারাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএসবি গ্লোবালসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অসংখ্য ফ্ল্যাট, ভবন ও জমির তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

ফিন্যন্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ  বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ‘সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে তাদের আর্থিক লেনদেন ও সম্পদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া অবৈধ সম্পদের তথ্যও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’

 

তদন্ত শেষে বিএসবি গ্লোবালের এই অবৈধ কর্মযজ্ঞের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা যাবে বলে জানান আজাদ।

 

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রতারিত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এসব টাকায় বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

সূত্র জানায়, রাজধানীর গুলশানে খায়রুল বাশারের নামে দশতলা একটি ভবনের তথ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ভাটারার শহীদ আব্দুল আজীজ সড়কে একটি আটতলা ও ছয়তলা ভবন রয়েছে বাশারের মালিকানায়। বারিধারায় তিনটি ফ্ল্যাট ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় রয়েছে বড় অংশের জমি।

 

গত ৪ মে মানি লন্ডারিং আইনে খায়রুল বাশার বাহার, তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএসবি গ্লোবাল মালিক  বাহারের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

 

মামলার বিবরণে বলা হয়, বিএসবি গ্লোবাল শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করেছে।

 

সিআইডির তদন্তে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া অফার লেটার, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ও ভিজিট ভিসার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি দেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের নামে কোনো ফি জমা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

 

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বাশার ও তার পরিবার প্রতারণার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে চেকের মাধ্যমে স্থানান্তর করেছে।

 

ভুক্তভোগীরা অর্থ ফেরত চাইলে প্রতিষ্ঠানটি কখনও শিক্ষার্থী, কখনও প্রতিনিধি বা অভিভাবকের অনুকূলে ব্যাংক চেক দেয়। এসব চেকে টাকা না পেয়ে (বাউন্স হওয়ায়) কিছু ভুক্তভোগী নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্ট-এর অধীনে মামলা করেন।

 

এ পর্যন্ত ১৪১ জন ভুক্তভোগী মোট ১৮.২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিআইডিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রকৃত ভুক্তভোগীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ