শিরোনাম
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা আবারও চরমে উঠেছে। আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসবে। প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে উজ্জ্বল ছাতকের কন্যা উম্মে ফাতেমা স্পিহা-জাতীয় মঞ্চে ছনখাইড় কন্যার অনন্য সাফল্য কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন কালিহাতীতে শিয়ালের আকস্মিক হামলায় বৃদ্ধা গুরুতর আহত, আতঙ্কে এলাকাবাসী কর্মসূচি স্থগিত করে  পরীক্ষায় ফিরছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বিমান ভ্রমণে এই মুহূর্তে সক্ষম নন বেগম খালেদা জিয়া পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টায় মা -ছেলে আটক লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নি‌হত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার কলেজ কর্মসূচির উদ্বোধন ও পুরুষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত 
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। 

রিপোটারের নাম / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সামরিক পণ্যের ব্যবহার ঠেকাতে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

মূলত, গাজায় সামরিকভাবে ব্যবহারযোগ্য যেকোনো পণ্যের রপ্তানি বন্ধে দেশটি তাদের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছে।

রোববার বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, শনিবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, গাজায় ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে— এমন সামগ্রী রপ্তানির জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়নি।

তিনি বলেন, “গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক পণ্যের লাইসেন্স আমরা ২০২৪ সালের শুরুতেই স্থগিত করেছি এবং এখনও তা বহাল রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”

সম্প্রতি, ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কানাডা থেকে এখনও ইসরায়েলে অস্ত্র যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আনন্দ বলেন, “প্রতিবেদনের অনেক দাবিই বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, “প্রতিবেদনে যেগুলোকে ‘গুলি’ বলা হয়েছে, সেগুলো মূলত পেইন্টবল ধাঁচের। এগুলোর সঙ্গে এমন যন্ত্রও ছিল, যা আগ্নেয়াস্ত্রকে সাধারণ গোলাবারুদ ব্যবহারে অকার্যকর করে তোলে। এসব যন্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগী নয়। কেউ যদি এমন কিছু ব্যবহার করতে চায়, সেক্ষেত্রেও লাইসেন্স প্রয়োজন— এবং সেই লাইসেন্স কখনোই দেওয়া হতো না।”

তিনি আরও নিশ্চিত করেন, “লাইসেন্স স্থগিত হওয়ার আগেই কোনো কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে মর্টার সরবরাহ করেনি— না সরাসরি, না পরোক্ষভাবে।”

আনন্দ বলেন, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান বৈধ লাইসেন্স ছাড়া সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যার মধ্যে জরিমানা, পণ্যের জব্দ এবং ফৌজদারি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা কখনোই চাই না, কানাডায় তৈরি কোনো অস্ত্র এই সংঘাতে ব্যবহৃত হোক।”

প্রসঙ্গত, ২৯ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে চারটি এনজিও— ওয়ার্ল্ড বিযন্ড ওয়ার, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন, কানাডিয়ানস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্য মিডল ইস্ট এবং ইনডিপেনডেন্ট জিউইশ ভয়েসেস— ইসরায়েলি ট্যাক্স কর্তৃপক্ষের তথ্য উদ্ধৃত করে দাবি করে, ‘মিলিটারি ওয়েপন পার্টস ও অ্যামুনিশন’ নামের সামগ্রী এখনও কানাডা থেকে ইসরায়েলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার অটোয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলনের নেত্রী ইয়ারা শুফানি বলেন, “এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়, কানাডা সরকারের অস্বীকার সত্ত্বেও দেশটি এখনো বাস্তবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে।”

সংগঠনগুলো তাদের দাবির পক্ষে বাণিজ্যিক শিপমেন্টের কাগজপত্রও উপস্থাপন করেছে।

 

 


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ