গত ২৪ ফেব্রুয়ারি -২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সংগঠিত হয়। প্রায় ১৮ মাস চলছে এই যুদ্ধ ; যার কারণে আজ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা পঙ্গু হয়ে গেছে। ছোট ছোট দেশগুলোতে দ্রব্যেমূল্যবৃদ্বির কারণে মানুষ হাহাকার করছে। এই যুদ্ধের পূর্বে করোনা ভাইরাস নামক একটি মহামারীর কারণেও সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থা থমকে পড়েছে। এই মহামারী ও যুদ্ধের কারণে আজ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এর উপরও চরম প্রভাব পড়ছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যাপক সময় প্রয়োজন। এই ভাবে যদি আরও যুদ্ধ চলমান থাকে তাহলে অচিরেই বিশ্ব প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এই যুদ্ধ বন্ধে বিশ্বের অনেক দেশ বিভিন্ন ভাবে আহবান জানান। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ আলী নামে এক যুবক রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কে আহবান জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, লায়ন মোঃ আবুল বাশার,নুর মোহাম্মদ শাহেদ চৌধুরী, মোঃ ফরিদ গাজী।
৩ আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়া দূতাবাসের ডেপুটি চীপ কাউন্সিলর একাতেরিনা সেমেনোভার হাতে এই বার্তা তুলে দেন বাংলাদেশী যুবক মুহাম্মদ আলী।
এই বার্তায় মুহাম্মদ আলী বলেন বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আমি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রতি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য যে রাশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি জনাব ভ্লাদিমির পুতিন মুসলিম জাতি সহ সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার কারণে আমি রাষ্ট্রপতির সত্যিকারের ভক্ত হয়েছি।
আপনার নেতৃত্বের অনেক গুণাবলী বিবেচনা করে, আমি আপনাকে একজন বিশ্বনেতা এবং রাশিয়ার লৌহমানব বলি। বাংলাদেশের একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে আমি জানি না যুদ্ধ কিসের। কিন্তু আমি এতটুকু বুঝি যে যুদ্ধের কারণে উভয় দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এই যুদ্ধের কারণে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ মারা যায়। শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব আজ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল; এমনকি অনেক দেশ খাদ্য ও জ্বালানিসহ নানা সমস্যায় পঙ্গু। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে রাশিয়া কখনই কোন দেশের সাথে কোন অনৈতিক ইস্যুতে যুদ্ধে জড়াতে পারে না, অবশ্যই রাশিয়া তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধের আয়োজন করছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আপনাকে জোরালোভাবে অনুরোধ করছি ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করার জন্য।
কারণ আমি বিশ্বাস করি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জনাব ভ্লাদিমির পুতিন একজন মহান বিশ্ব মানবতাবাদী নেতা। আর তাই তিনি বিশ্ববাসীর দুর্ভোগ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।
আমি আশা করি রাশিয়ার লৌহমানব মি. ভ্লাদিমির পুতিন আমার এই ছোট্ট বার্তাটিকে স্বাগত জানাবেন।