শিরোনাম
কমলগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিশ্বজুড়ে সাইবার কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। মনোহরদীর দৌলতপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২ গ্রুপে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত আমদানিকৃত পণ্যে কিউআর কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের চার দিনের সরকারি সফরে আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা । পারভেজ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোতালিব হোসেন বরকতীর নেতৃত্বে মনোহরদীর দৌলতপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনসংযোগ অনুষ্ঠিত। দুদকের মামলায় রাজউক কর্মচারী মো.দেলোয়ার সিকদারকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি: মির্জা ফখরুল চীনা ও ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

 

ছাতকে মানিকপুর – গোদাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

সাকির আমিন, ছাতকঃ / ২৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

সাকির আমিন, ছাতকঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর গোদাবাড়ি -সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুলাল শর্মার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়াগেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ১৯৮৯ সালে স্থাপিত এ বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়ার মান ভালছিল।২০১৮ সালে বাবুলাল শর্মা এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান নিম্নগামী হয়ে পড়েছ। বাবুলাল শর্মা বিদ্যালয়ের অদূরে শহরের মন্ডলী ভোগ মহল্লায় অবস্থান করলেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে নিজ অফিস কক্ষে বসে থাকেন। শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে খোঁজ খবর না নেওয়ায় সহকারি শিক্ষকরা তাদের খেয়াল খুশি মত পাঠ দান করায় শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে ৩০ জুড়া ষ্টিলের ফ্রেমে কাঠের তৈরি ব্রেঞ্চ বিক্রি করে আত্মাসাত করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের কাঁঠাল গাছ কেটে নিজ বাসার ফার্নিচার তৈরি করেছেন। প্রতি বছর ছাত্র -ছাত্রীদের কাছ থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ করে ও জমে থাকা নতুন বই বিক্রি করে কয়েক হাজার টাকা আত্মাসাথের ও অভিযোগ উঠে। বাবুলাল শর্মা  জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রত্যায়ন পত্র দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ বা ১ হাজার টাকা করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আত্মাসাত করায় এলাকাবাসী সরব হয়ে উঠলে তাৎকনিক ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন। বাবুলাল শর্মা যোগদানের পর হতে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা (শ্লিপ) সহ নানা প্রকল্পে ৮ লাখ ১৪ হাজার ৩শ টাকা বরাদ্দ হলেও চোখে পড়ার মত কোন উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমুদয় টাকা আত্মাসাতের ও অভিযোগ উঠেছে।এদিকে ২০১৬ সালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করে ২০১৯ সালে মেয়াদ শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৬ নবেম্বর প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় কমিটি গঠনে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেন। বাবুলাল শর্মা প্রজ্ঞাপন অনুসরণ না করে এমনকি  কোন এডহক কমিটি ও গঠন করেননি।পুরাতন কমিটির ষষ্ঠ শ্রেণী পাশ ব্যক্তিকে দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার এ কমিটির অন্য সদস্যরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আপনাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আপনাদের কোন কার্যক্রম নাই।তাই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা সদস্য ও অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ নানা দপ্তরে অনুলিপি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর এসব অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এব্যাপারে ছাতক থেকে বদলি হয়ে যাওয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাছুম মিঞা জানান বেশকিছু দিন ধরে বিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও হেড মাস্টার আমাদের জানায়নি। জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতাম। বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিয়া জানান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান শিক্ষা বিষয়ক কোন কিছুতে ছাড় দেওয়া হবেনা।দুর্নীতি করে কেউ পার পাবেনা।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ