শিরোনাম
সেই ইলেকট্রিক চেয়ারে আমাকে বসানো হয়েছিল : মাওলানা রফিকুল ইসলাম  ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছেন রাশিয়া। প্রধান উপদেষ্টা দুবাই পৌঁছেছেন। গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হামাস ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ফের গাজায় যুদ্ধ ঘোষণা নেতানিয়াহুর । গনক্ষাই মদ্রাসায় ১ম বারের মতো আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের অধীনে বোর্ড পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন সব দল ও গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকতে চায় : সিইসি আগামী ১১ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কুতুব বাড়ি সৈয়্যদ মাওলানা কুতুব শাহ(রহঃ)’র বাষিক ওরশ শরীফ প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রেস সচিব শফিকুল আলম
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্যাংকগুলোর সম্পদ পর্যালোচনার জন্য নিয়োগ দিয়েছে বিখ্যাত তিন অডিট ফার্মকে ।

রিপোটারের নাম / ৩০ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা অর্থনীতি ডেস্ক  : বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শাসনামলে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার ব্যাংক থেকে আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিখ্যাত তিনটি আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান—ইওয়াই, ডেলয়েট এবং কেপিএমজিকে ব্যাংকগুলোর সম্পদ পর্যালোচনার জন্য নিয়োগ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ অর্থ পাচার করে কেনা সম্পদের সন্ধানে ১১টি যৌথ তদন্ত দলও গঠন করেছে। এই তদন্তের কেন্দ্রে বাংলাদেশে থাকা শীর্ষ ১০ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ‘অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ’ শুরু করেছে যার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সম্পদের কার্যকারিতা যাচাই করা হবে। কোনো সম্পদ কার্যকর কি না এবং কীভাবে তা ব্যবহৃত হয়েছে, সেসব বিষয়ে ফরেনসিক অডিটও করা হবে।

আহসান এইচ মনসুর জানান, তার মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানো এবং পাচার হওয়া অন্তত ২ ট্রিলিয়ন টাকা উদ্ধার করা।

গত বছরেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শীর্ষ ব্যাংক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) সাহায্যে দখল করা হয়েছে। মূলত ছয়টি ব্যাংকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে পাঁচটি ব্যাংকের শেয়ার এস আলম গ্রুপের হাতে রয়েছে।

এছাড়া, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১.৩ বিলিয়ন টাকার জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেছে, যেখানে মামলা সম্পর্কিত কিছু সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এস আলমের আইনজীবী বলছেন, তাদের কিছুরই দোষ নেই এবং তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমর্থন সহ পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার চেষ্টা করছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে আর্থিক সম্পৃক্ততার অভিযোগের কারণে শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। আহসান এইচ মনসুর বলেন, জনগণের চাপের কারণে তার পদত্যাগ হয়েছে এবং এটি হারানো অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় বিশ্বের নজর আকর্ষণ করবে। তিনি আশা করছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের চাপের সম্মুখীন হয়ে অর্থ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় সমর্থন দেবেন।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ