শিরোনাম
বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্যে ওজন হ্রাস ও নকল পণ্যের বিপণন বন্ধে সিআরবি’র আবেদন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে রেজিস্ট্রেশন চলছে সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস স্কুলে আকিজ ফ্যাক্টরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দীর্ঘ সারিতে ট্রাক, বাড়ছে যানজট চন্দনাইশে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি নেতা নুরুল আনোয়ার চৌধুরী চন্দনাইশে ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিল অনুষ্ঠিত ছাতক ইসলামিক সোসাইটি ইউকের নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে বাংলাদেশ শাখার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা। সাতক্ষীরায় বদলি হয়ে আসছেন বিতর্কিত ক্রীড়া অফিসার খালিদ জাহাঙ্গীর, ক্রীড়া অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের আয়োজনে ওয়ায়েজীনদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ শামীম শাহরিয়ার পোরশার সোমনগরে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

নির্দেশনা অমান্য করায় এবি ব্যাংককে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ।

রিপোটারের নাম / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫

 

এইচটি বাংলা অর্থনীতি ডেস্ক : বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণের বোঝা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একসময়ের স্বনামধন্য ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঋণের জালে আটকে আছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়া নির্দেশনা সত্ত্বেও, বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক আবারও তা লঙ্ঘন করে ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবি ব্যাংককে জরিমানা করেছে। এর আগেও ব্যাংকটি প্যাসিফিক মোটরসের খেলাপি ঋণের তথ্য গোপন রেখে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে জরিমানার মুখে পড়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে কৃষি ও সিএসএমই ঋণ ছাড়া নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকার কথা। এছাড়া ১২টি গ্রাহক প্রতিষ্ঠানকে নতুন ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ ছিল। যদিও গ্লোবাল করপোরেশনসের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়, বাকিদের ক্ষেত্রে তা বলবৎ রয়েছে।

কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত এস. এস. স্টিল লি., সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-কে ১,৫২২.২৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭৯.৭৪ কোটি টাকা ফান্ডেড এবং ৬৪২.৫০ কোটি টাকা নন-ফান্ডেড ঋণ। এ ঋণের একটি বড় অংশ যথাযথভাবে ব্যবহার না করে নগদ উত্তোলন এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা অর্থের অপব্যবহারের প্রমাণ বহন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বরের পর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এস. এস. স্টিল লি.-কে এলসি সুবিধা দেওয়া হয়, যা ব্যাংকের নীতিমালার পরিপন্থি। এছাড়া ৩৫০ কোটি টাকার (রিভলভিং) ঋণ সুবিধার আওতায় নতুন ঋণ অনুমোদন করা হয়, যা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের শামিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘনের দায়ে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ফরেন ট্রেড ইনচার্জ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী এবি ব্যাংককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এবি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, _’এস. এস. স্টিল সংক্রান্ত জরিমানার বিষয়ে আমরা জানি, তবে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা পুরনো ফাইল পর্যালোচনা না করে বলা সম্ভব নয়। আমরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছি।’

এবি ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ ৩২ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার ১১৫ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩১ শতাংশই খেলাপি ঋণ। যদিও বিশেষ সুবিধার আওতায় থাকায় প্রভিশন ঘাটতি নেই, তবে এই সুবিধা বাতিল হলে ব্যাংকটি বড় আর্থিক চাপে পড়বে।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ