আব্দুল মাবুদ মোহাম্মদ ইউসুফ, মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নরসিংদী জেলা সহকারী সেক্রেটারি, মনোহরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাবো) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এখন এলাকার মানুষের মধ্যে ইসলামী আদর্শ, ন্যায়বিচার ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে এক অদম্য আশার নাম।
তিনি নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদিন জনসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও ওয়ার্ডভিত্তিক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে তার সরব উপস্থিতি এবং সহজ, সৎ ও আলেমসুলভ আচরণে তরুণ ভোটারদের মাঝেও এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের একজন নির্ভরযোগ্য কর্মী হিসেবে তিনি শুধু একটি রাজনৈতিক প্রতীকের প্রতিনিধি নন, বরং বহু বছর ধরে ইসলামি সমাজ গঠনের কর্মপরিকল্পনায় একজন দৃঢ় সংগঠক হিসেবে পরিচিত।
তিনি মনে করেন, এদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অবিচার, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রতারণার শিকার। তাই এখন সময় এসেছে একটি নৈতিক, ইনসাফভিত্তিক ও আল্লাহভীরু নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করার। ইসলামী আন্দোলনের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের নির্দেশনা ও আদর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি মাঠের একজন পরীক্ষিত সেনানী। দলীয় কর্মসূচি, নির্বাচনী প্রস্তুতি ও তৃণমূল গোছানোর ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এলাকার ভোটারদের বড় একটি অংশ মনে করেন, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমই হচ্ছেন সেই স্বচ্ছ, শিক্ষিত ও ধার্মিক নেতৃত্ব যার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব। তিনি যে শুধু রাজনীতিক নন, বরং একজন দায়িত্বশীল শিক্ষাবিদ ও মানবসেবী হিসেবেও জনমানসে পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ সমাজ, মসজিদপাড়া মুসল্লি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে তার প্রতি রয়েছে অগাধ আস্থা।
তৃণমূলে চলমান তার নিরলস প্রচারণা, সাধারণ মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং ইসলামী রাজনীতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি আগামী নির্বাচনে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ফলের সম্ভাবনা তৈরি করছে। তিনি জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায়, ইনসাফ ও ইসলামি মূল্যবোধকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত করতে।
জামায়াতে ইসলামী আজ আর কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি নৈতিক বিপ্লবের প্রতিনিধিত্ব করে। মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে নরসিংদী-৪ আসনে সেই বিপ্লবের আলোকবর্তিকা হাতে তুলে নিয়েছে একটি সচেতন জনগোষ্ঠী, যারা বিশ্বাস করে — এদেশে আল্লাহভীরু নেতৃত্বই পারে সত্যিকার অর্থে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে।