শিরোনাম
কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাব’র নতুন কমিটিকে ছাতক উপজেলা অনলাইন প্রেসক্লাব’র অভিনন্দন পটিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুই জনের মৃত্যু  সাতক্ষীরায় ফেন্সিডিল, ইয়াবাও ৪৪ লাখ ৮ হাজার টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ এলজিইডিকে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক । বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে যমুনা রেলসেতু। সাদপন্থি নেতা মোয়াজ বিন নূরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদলত। গত ৬ মাসে ১০০ পোশাক কারখানা বন্ধ ,বেকার ৬০ হাজার শ্রমিক। এশিয়া কাপে ভারতের সাথে হেরে স্বপ্নভঙ্গ অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নির্বাচনে মোরশেদ-সানাউল্লাহ-আজাদ পরিষদ জয়ী সাতক্ষীরায় বিরামহীন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত, জনজীবন বিপর্যস্ত
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে যমুনা রেলসেতু।

রিপোটারের নাম / ৬ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

 

এইচটি বাংলা ডেস্ক : যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। এটির নাম দেওয়া হচ্ছে ‘যমুনা রেলসেতু’। নির্মাণ শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই সেতুর নাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু।

 

 

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

 

তিনি বলেন, যমুনা রেলসেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেলসেতু নামে উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই সেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।

 

 

তিনি জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

 

এই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপানের জাইকা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে।

 

সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াশিমা।

 

নতুন এই রেলসেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে। সিবিআইএস চালু না হওয়ায় মূল সেতুতে নয়, রেলের গতি কমবে সেতুর কানেক্টিং দুই স্টেশনে। নন-ইন্টারলিংক সিস্টেম চালু থাকায় স্টেশনের লুপ লাইনে যখন ট্রেন প্রবেশ করবে, তখন তার গতি কমিয়ে আনতে হবে ১৬ কিলোমিটারে। তবে লুপ লাইন পেরিয়ে মূল সেতুতে রেল ফুল স্পিডে চলাচল করতে পারবে। রেললাইন ও ব্রিজের সক্ষমতা রয়েছে।

 

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালুর পরে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেই বাস্তবতা নেই রেলওয়েতে।

 

রেলের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, রেলে ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে। চাইলেও নতুন ট্রেন দিতে পারছি না। তবে রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেছিলেন, পাবনাবাসীর জন্য কোনো নতুন ট্রেন পরিচালনা করা যায় কী না। সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ