শিরোনাম
আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম ছাতক উপজেলা ইউএনও’র সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাত চন্দনাইশ সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড কর্মী সমাবেশ চন্দনাইশে অধিগ্রহণের জায়গায় মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন চন্দনাইশ জোয়ারা-কাঞ্চননগর বাদামতল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির শপথ গ্রহণ ও অভিষেক চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে মারধর আহত রিক্সা চালকের মৃত্যু স্বজনদের আহাজারী  । তালায় জাতীয় শিশু কিশোর ফুল কুঁড়ি সূবর্ণ জয়ন্তী পালিত ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ বছরের বন্দি জীবন থেকে মুক্ত হয়েছি- ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী সাংবাদিকদের কাছে আমার কাজের যৌক্তিক সমালোচনা আশা করি: চসিক মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন ইমরুল ।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

ব্যাংকিং সেক্টরে গ্রাহকদের আস্থার শীর্ষে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।

রিপোটারের নাম / ৮৯ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 

এইচটি বাংলা অর্থনীতি ডেস্ক:  শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে গ্রাহকের পছন্দের ব্যাংক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিরতার কোনো প্রভাবই এ ব্যাংককে স্পর্শ করতে পারেনি। ছোট-বড় সব ধরনের গ্রাহকের সকল লেনদেন চাহিদা সময়মতো পূরণ করে এআইবি পিএলসি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সমসাময়িক ব্যাংকগুলো যেখানে গ্রাহকের চাহিদা পূরণে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে এ ব্যাংকটি প্রতিনিয়তই সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ কোনো সুবিধাও নিতে হয়নি। সঙ্কটকালে সেবা প্রদানের এ চিত্রই বলে দেয় ব্যাংকটির আর্থিক ভিত্তি কতটা সুদৃঢ় ও নিখুঁত।

৩৬ লাখ গ্রাহকের সাড়ে ৫১ হাজার কোটি টাকার আমানত ও সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এ আস্থার চিত্রটাই প্রতিফলিত করে। দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, রেমিটেন্স সংগ্রহ, ক্যাপিটাল অ্যাডিকুয়েসি, সিএলআর, এসএলআর সংরক্ষণ, এডি রেশিও পরিপালনসহ ব্যাংকিংয়ের সবগুলো সূচকেই এ ব্যাংক সেরা অবস্থানে রয়েছে। ব্যাংকের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন ও ২০২৪ সালের জুনভিত্তিক অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  ‍

সূত্র মতে, বিগত কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারী, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার সংকট সহ দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বৈরি প্রেক্ষাপটেও এআইবি কর্তৃপক্ষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গ্রাহক-শুভানুধ্যায়ীদের আস্থা ও বিশ্বাস ব্যাংকটিকে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যাংকটি সেবার মান ও শরীয়াহ্ পরিপালনের দৃঢ়তা নিয়ে এ বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ২৯ বছর পেরিয়ে ৩০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই শরীয়াহ্ পরিপালনের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে ছিলো আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। একই সাথে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিশ্চিত করেছে সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা। এ অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই দেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক সূচকে শীর্ষে উঠে এসে নতুন নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশজুড়ে এ ব্যাংকের ২২৪টি শাখা, ৭২টি উপশাখা, ৭৪৫টি এজেন্ট আউটলেট, ২২৫টি এটিএম বুথের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে।

সূত্র মতে, ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফার পরিমান ছিলো ৮২২ দশমিক ০১ কোটি টাকা। পরিচালন মুনাফা অর্জনের দিক দিয়ে ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকটি।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ ব্যাংকের ডিপোজিটের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা যেখানে ২০২২ সালে ডিপোজিট ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুনে ডিপোজিট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ।

প্রায় ৩৬ লাখ গ্রাহকের এই ব্যাংক দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। যেখানে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার বিনিয়োগ গ্রাহক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে ছুটে চলেছে। বিশেষ করে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে ব্যাংকটি। বৃহৎ শিল্প বিনিয়োগ থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে জামানতবিহীন বিনিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে জুন-২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। যেখানে ২০২৩ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা ও ২০২২ সালে ছিল ৪০ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর বিনিয়োগে গ্রোথ ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আমানত-বিনিয়োগের অনুপাত একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে নির্দেশনা রয়েছে, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক বরাবরই সেই নির্দেশনা পরিপালন করে আসছে। ২০২২ সালে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এ অনুপাত ছিলো ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ছিলো ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন মাসে ব্যাংকটির আমানত-বিনিয়োগ অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৯১ দশমিক ২৩ শতাংশ যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া সীমা অর্থাৎ ৯২ দশমিক শুন্য শতাংশ এর মধ্যে রয়েছে।

দেশের প্রধান রফতানি শিল্প -তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে এ ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প-কারখানা, কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান, পাটকল, নৌ পরিবহন, সড়ক পরিবহন, যানবাহন, কোল্ড স্টোরেজ, অটো রাইস মিল ইত্যাদি অসংখ্য সফল প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। একটি নির্ভরশীল আধুনিক ব্যাংক হিসেবে শ্রেণী-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। এ আস্থার প্রমাণ রয়েছে ব্যাংকটির বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানেও। ২০২৩ সালে ব্যাংকের আমদানি বাণিজ্যের পরিমাণ ২৬ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। ২০২৪ এর জুন পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ ১৬ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে রপ্তানির পরিমাণ ২০ হাজার ০৩৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ ১২ হাজার ০৪৮ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রাণশক্তি বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণে দেশের সেরা ব্যাংকগুলোর একটি এআইবি পিএলসি। ২০২৩ সালে এ ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার বৈদেশিক রেমিট্যান্স এসেছে, যেখানে ২০২২ সালে ছিল ৮ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বড় বড় ইসলামী ব্যাংকগুলোর লিকুইডিটি বা নগদ অর্থের সঙ্কট দেখা দিলেও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংককে কখনোই এ সঙ্কটে পড়তে হয়নি। এসএলআর ও সিআরআর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। যার ফলে ২০২২ সালে ৫৭০ দশমিক ৭০ কোটি, ২০২৩ সালে ১৭৮ দশমিক ৫৪ কোটি এবং এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুন মাসে ব্যাংকের ৮৯৬ দশমিক ২২ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত এসএলআরও সিআরআর ছিলো।

ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী  বলেন, শরীয়াহ্ পরিপালনের একাগ্রতা এবং আধুনিক ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে ৩০তম বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এ ইসলামিক ব্যাংকটি।

তিনি বলেন, একটি তালিকাভূক্ত ব্যাংকের সবচে জনপ্রিয় মাপকাঠি হলো- পুঁজিবাজারে এর প্রদত্ত ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ। গত ৩ বছর ধরেই আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এর শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের স্থিতিশীল অগ্রগতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নজিরবিহীন বললেও অত্যুক্তি হবে না। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে আরও হাজার বছর এগিয়ে যাক এ সেবাধর্মী এ প্রতিষ্ঠানটি -সকলের সেই প্রত্যাশাই থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ