এইচটি বাংলা ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও পরবতী সময় এবং সংকটকালে সবসময় সশস্ত্র বাহিনী দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনী আবারও দেশের জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনীর অবদান স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্র নির্মাণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ এক হয়ে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্বভাবে আক্রমণ চালেয়েছিল। তিনি বলেন, ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম লাভ করে, যেখানে সেনা, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষের সাথে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা প্রশিক্ষণও প্রদান করে।
তিনি বলেন, এই বিশেষ দিনে ‘আমি গভীরভাবে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং সব সাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ করে আহত করা হয়েছিল’।
প্রধান উপদেষ্টা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সকল শহিদ এবং আহতদের স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগ দেশ পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং জাতি চিরকাল তাদের এই ত্যাগকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন।’