এইচটি বাংলা ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ২০২৫-২৭ মেয়াদের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। আজ বিকেল ৫টায় নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে প্রার্থীরা কে কতো ভোট পেয়েছে, সেই তথ্য এখনও প্রকাশ হয়নি।
আজ শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় বিজিএমইএর ইউটিউব চ্যানেল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ঢাকার র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ও চট্টগ্রামের র্যাডিসন ব্লু হোটেলে একযোগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে। এবারে ৩৫টি পরিচালক পদে লড়ছেন ৭৬ জন প্রার্থী।
বিজিএমইএর নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৮৬৪ জন। ঢাকার ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৫৬১ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে এক হাজার ৩৭৭ জন বা ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। অপরদিক চট্টগ্রামের ভোটার সংখ্যা ৩০৩ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছে ২৫৪ জন বা ৮৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বিজিএমইএ নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন মোহাম্মদ ইকবাল। এবারে শুধু সচল কারখানার উদ্যোক্তারাই ভোটার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে ও শৃঙ্খলার মধ্যে ভোট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইকবাল। তিনি বলেন, আজকের নির্বাচন বাংলাদেশের আগামী দিনের উদাহরণ হয়ে থাকবে। সবাই বেশ সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছে। আশা করছি, ভোটের পরিবেশ এই রকম শৃঙ্খল সুন্দর পরিবেশ থাকবে। বিজিএমইএ প্রশাসক ও ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ভোট যথাসময়ে শুরু হয়েছে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট শেষে ফলাফল দেওয়া হবে। যা সরাসরি দেখানো হয় বিজিএমইএর ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা রেডিসনের ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ছাড়া কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। ভোটারদের হোটেলের সামনে মোবাইল ফোন জমা রেখে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। ভোট প্রদান করে ভোটারদের দ্রুত ভোটকেন্দ্র ছাড়তে বলা হয়। থাকতে পারেনি প্রার্থীর সর্মথকরাও।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন প্যানেলের সমর্থকদের ভোট শুরু হওয়ার পরে হোটেলের সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন হোটেল ফটকের সামনে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ প্যানেলের সমর্থন চেয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় কর্মীদের।। কিন্তু বেলা ৯টার পর বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ও নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে সরিয়ে দেন প্রার্থীর সমর্থকদের। এসময় পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে হোটেলের পাশের রেলস্টেশনের কাছের দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন।
এই নির্বাচনে ফোরাম, সম্মিলিত পরিষদ ও ঐক্য পরিষদ নামে তিনটি প্যানেলের অধীনে অংশ নিয়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ঢাকায় ২৬টি, চট্টগ্রামে ৯টিসহ ৩৫ পদে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। ঐক্য পরিষদ ছয়জন প্রার্থী দিয়ে প্যানেল ঘোষণা করেছে। নির্বাচনি ইশতেহারে ১২ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মো. আবুল কালাম। অন্যদিক ১৪ দফা ইশতেহার দিয়েছে ফোরাম। প্যানেলটির লিডার মাহমুদ হাসান খান। এছাড়া ১৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে ঐক্য পরিষদ। প্যানেলটির লিডার মোহাম্মদ মহসিন।