এইচটি বাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার কারণে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর সব কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে, ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিইপিজেডের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার দুপুর ১টা ১০মিনিটের দিকে ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডিইপিজেডের কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে ইউনাইটেড পাওয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় সরবরাহ করতে পারছে না। েএ কারণে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে জানিয়ে ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শরীফুল ইসলাম বলেন, তিতাস জানিয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান বলেন, গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মমতাজ হাসান আরও বলেন, আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।
সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্তে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।